চট্টগ্রামকে উড়িয়ে বিপিএল শুরু সিলেটের

স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৯ম আসর মাঠে গড়াল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি)। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো এবারের আসর। আর আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধান হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু সিলেটের।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের বোলারদের তোপের মুখে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ৮৯ রান তুলতে পারে চট্টগ্রাম। মাত্র ৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৪৫ বল আর ৮  উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে সিলেট। শান্ত ৪১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খায় সিলেট। তৃতীয় ওভারেই উদ্বোধনী ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান মাত্র ১ রান করে ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে। এরপর অবশ্য আর পা হড়কায়নি সিলেট। আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত এক প্রান্ত আকড়ে রাখেন। আর তাকে সঙ্গ দিতে আসেন জাকির হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি ৬৩ রান তুললে জয় হাতের মুঠোয় চলে আসে সিলেটের।

তবে জয় থেকে মাত্র ১৫ রান দূরে থাকতে পুশপাকুমারের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির হাসান। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে দুটি চার আর একটি ছয়ে ২৭ রান করে ফেরেন জাকির। এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরা মাঠ ছাড়েন শান্ত। মুশফিক ৮ বলে ৬ রান করেন। আর ১৩তম ওভারে জয় তুলে নেয় সিলেট।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধণী খেলা মাঠে গড়ায় দুপুর ২টায়। টস জিতে আগে বোলিং নিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা গেল কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে সিলেটের বোলাররা যতোটা না ভালো বোলিং করলেন তার চেয়ে বেশি বাজে ব্যাটিং করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলো চট্টগ্রামের ‘তারকাহীন’ ব্যাটিং লাইনআপ।

অনেকদিন পর ক্রিকেটে ফেরা মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথম ওভারে ১ রান দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বিপক্ষেও ১ রানের বেশি নিতে পারে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। তবে তৃতীয় ওভারে চট্টগ্রামের ওপেনার মেহেদি মারুফ মাশরাফিকে সপাটে ছক্কা মেরে দিলে মনে হচ্ছিল, এই বুঝি টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং শুরু হলো। কিন্তু কিসে কী!

পুরো ইনিংস জুড়ে ছক্কা ওই একটাই। সেই ওভারেই রান আউট হয়েছেন ১১ রান করা মারুফ। এরপর বাকিদের ক্রিজে রানের জন্য হাঁসফাঁস করা এবং যাওয়া-আসার মিছিল। মারুফ ছাড়া চট্টগ্রামের হয়ে মাত্র দুজন দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পেরেছেন। আফিফ হোসেন ধ্রুব পাঁচে নেমে ২৩ বলে করেছেন ২৫ রান। তিনে নেমে আল-আমিন করেছেন ২০ বলে ১৮ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম। সিলেটের তরুণ পেসার রেজাউর রহমান রাজা ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। মাশরাফি ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.