সৈয়দ আককাস উদদীন
অবৈধ মুরগীর ফার্মের বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে পরিবেশ দূষন করে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিসহ পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের নামাজে ও বিঘ্ন ঘটার অভিযোগ এনে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছদাহার ৬নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক। ১৬ই ফেব্রুয়ারী(মঙ্গলবার)বিকালে ছদাহার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে মুন্সী ফজল সিকদারের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি ও মসজিদের মুসল্লীদের সুরক্ষার দাবীতে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,ছদাহার ৬নং ওয়ার্ডের মৌলানা হাফেজ শামসু সাহেব পাড়ার একদম বসতভিটার সাথে লাগোয়া পরিবেশের ছাড়পত্র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অগোচরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিনাঅনুমতিক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেডলাইসেন্স ছাড়া এমন কী ফায়ার সার্ভিসের অনুমতি না নিয়েই একের পর এক দুটি বড় মুরগীর ফার্ম গড়ে তোলেন ফজল সিকদার।
ফার্ম গড়ে তুল্লে ও তিনি ফার্মের মুরগীর বিষ্ঠা ও মৃত মুরগী কোথায় ফেলবে সেই পরিকল্পনা না করেই মানুষের চলাচলের রাস্তা ও ব্রীজের নিচে ফেলে ছদাহার পুরো ৬নং ওয়ার্ডের মানুষের বসবাসকে গড়ে তোলেছেন বিপজ্জনক!সর্বশেষ গত ১৫ই ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে হাফেজ শামসু সাহেবদের মসজিদের পাশেই চলাচলের মেইন রোডে সারি সারি মৃত মুরগীর স্তুপ ফেলেই পুরো গ্রামকে করে তোলেছেন অসহনীয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মসজিদের উত্তরে চলাচলের মেইন রোডের ব্রীজের পাশেই গর্ত করে মৃত মুরগী পুৃতেঁ না ফেলে খোলা জায়গায় ফেলে দিলেই মারাত্বক দূর্গন্ধ সৃষ্টি হলে পথচারীরা নাকে রোমাল দিয়ে অসহ্যবোধ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মরিয়ম খাতুন বলেন,এই ফজল মুন্সী দীর্ঘ ৬বছর ধরেই সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুৃমতি না নিয়ে এই বসতির ভেতরেই এই ফার্মের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন,ফলে ছেলেমেয়েরা মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ হাট বাজার কোথাও যেতে পারেনা।
সর্বশেষ মৃত মুরগীর স্তুপ মাটিতে না ফেলে পরিবেশের চরম অবনতি ঘটালে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি,আমরা চাই মূলত এই অবৈধ মুরগীর ফার্ম আমাদের বাড়ির পাশে না থেকে অন্য কোন জায়গায় গিয়ে বৈধ ভাবে ব্যবসা করুক।
সম্পাদনা: আই এইচ