উঁৎকোচ ছাড়া চলেনা রনিদাশের হাত-সাতকানিয়া সঞ্চয় ব্যাংক
নৈশ প্রহরীকে দিয়ে ব্যাংক চালান শাখা ব্যবস্থাপক
সৈয়দ আককাস উদদীন
সাতকানিয়ায় নৈশ প্রহরীকে দিয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সব কার্যক্রম নিজের কাছে বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপক রনি দাশের বিরুদ্ধে। এছাড়া সঞ্চয়ের টাকা আটকে রাখার গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, অ্যাকাউন্স অফিসার থাকার পরও নৈশ প্রহরী আবু তালেবকে দিয়ে ব্যাংকের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করান শাখা ব্যবস্থাপক রনি দাশ।
মাঠ কর্মীদের আঁড়ালে রেখে তাকে দিয়েই বিতরণ করা হয় বিভিন্ন ইউনিয়নের ঋণ।
জানা গেছে, মূল অ্যাকাউন্টট্যান্ট শাহাব উদ্দীনকে কৌশলে বসিয়ে দিয়ে নৈশ প্রহরী আবু তালেবকে বাগে নেন শাখা ব্যবস্থাপক রনি দাশ।
এরপর তাকে দিয়েই সব ইউনিয়নের চাল চালেন। গ্রাহকদের ঋণ বিতরণ, সঞ্চয় আটকে রাখা সবই চলে শাখা ব্যবস্থাপক রনি দাশের কূটচালে। তার কূটচালের শিকার হয়েছেন এক জনপ্রতিনিধিও।
আরো অনুসন্ধানে জানা যায় শাখা ব্যবস্থাপক রনিদাশকে উৎকোচ না দিলে ওই ইউনিয়নে ঋন বিতরণ হয়না।
এমনকি সঞ্চয়কৃত টাকাও উত্তোলন করতে দিতে হয় অতিরিক্ত উৎকোচ, আর এমন উৎকোচের জালে পড়ে কয়েকমাস যাবত পথেপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের অসহায় সাবেক ইউপি সদস্য সুমনদাশ ও রিকা দাশসহ সহ অন্তত ৬জন।
এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য সুমন দাশ প্রতিবেদককে বলেন- আমার লোনের টাকা পরিশোধ হয়ে গেলো কিন্তু আমার সঞ্চয়কৃত ১০হাজার ৬০০টাকা আজ দিবে কাল দিবে বলে বলে প্রায় ৭মাস যাবত ঘুরাচ্ছেন ব্যবস্থাপক রনি দাশ স্যার।
এদিকে রিকা দাশ বলেন এই শাখায় আমার জমাকৃত ৫০০০হাজার টাকা তুলতে পারছিনা।
তারা আরো বলেন আমাদের টাকার বিষয়ে অফিসে আসলে রনি দাশ উল্টো আমাদের হুমকী দিয়ে আমাদের ইউনিয়নের মাঠকর্মীর সাথে দেখা করতে বলেন।
অথচ!আমাদের ইউনিয়নের মাঠকর্মী পিকলু দাশকে বল্লে রনু দাশ আমাদের বলেন স্যার আমাকে কোনঠাসা করে ফেলছে উল্টো ঋন বিতরণ করায় নৈশপ্রহরী আবু তালেবকে দিয়ে।
এদিকে ধর্মপূর ইউনিয়নের মাঠকর্মী পিকলু দাশকে বল্লে তিনি বলেন-রনি দাশ স্যার অদৃশ্য কারণে ঋণ বিতরণ করেন নৈশপ্রহরী আবু তালবকে নিয়ে অথচ! যেটা করার দায়িত্ব আমার কারণ ইউনিয়নটা আমার দায়িত্বে।
এবং আমার ইউনিয়নে অদৃশ্য কারণে রনি দাশ স্যার ঋণ বিতরণ করছেনা প্রায় ৭লাখ টাকা,আমার থেকে ৩লাখ ৫৫হাজার অতিরিক্ত বিতরণ দেখিয়ে ঋণ বিতরণ ও প্রত্যাহার দিচ্ছেনা।
কিন্তু আমার গত ১মাসের ঋণ আদায় ৬লাখ আট চল্লিশ হাজার ৫শত টাকা তবপ বিতরণ হচ্ছে ৭লাখ ১০হাজার টাকা।
তবু ও রনি স্যার আমার সাথে খারাপ আচরণ করায় আমি মাঠে যেতে পারছিনা মাঠের লোকজন সঞ্চয় এবং ঋনের টাকা খুজেঁ আমার থেকে, এখন আমি কাজও করতো পারছিনা ভালো ভাবে চাকুরীও করতে পারছিনা।
অথচ!এসব কেন করতেছে স্যার, মাঠে কেন আমাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন এবং জনগনের কাছে আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পকে কেন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
এদিকে রনি দাশের একাধিক অপকর্মের অভিযোগ এনে ধর্মপুরের ৬জন ভুক্তভোগী প্রতিবেদকের ক্যামেরায়ও ভিডিও বক্তব্য প্রদান করেন।
অপরদিকে সাতকানিয়ার অন্য কেন ইউনিয়নে সমস্যা নেই কিন্তু ধর্মপুরে কেন এত সমস্যা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক রনিদাশ বলেন- ধর্মপুর ইউনিয়ন থেকে যতটুকু টাকা আসার কথা ততটুকু না হওয়ার কারণে মানুষের পাওনা টাকা আদায় করা যাচ্ছেনা এর বাইরে বেশী তথ্য দেয়া সম্ভব না।
এদিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের মাঠকর্মী পিকলু দাশ বলেন-রনি স্যার আমার সাথে হিসাবে না বসে ক্লায়েন্টকে কেন আবুল তাবুল তথ্য দিয়ে ঘুরাচ্ছেন তা আমি বুঝতেছিনা।
আমাদের অফিসিয়াল অভ্যন্তরীণ হিসাবকিতাবে কেন ক্লায়েন্টদেীকে টানা হবে তাও বুঝতেছিনা।
এদিকে সাবেক ইউপি সদস্য সুমন দাশ বলেন-আমাদেরকে গাড়ী ভাড়া দিয়ে বার বার সাতকানিয়া উপজেলায় সঞ্চয় ব্যাংকে এনে কি লাভ হয় রনি দাশের তা বুঝতেছিনা, মনে হচ্ছে তাকে গোপনে খুশি করলে আমাদের চ্যাপ্টারটা শেষ হত।