এখন ঋণ নেওয়া নয়, দেওয়ার সময় এসেছে: অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতিধারায় এখন আর ঋণ নেওয়া নয়, বাংলাদেশের ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জুন আমি সংসদে বলেছিলাম— আজ আমরা ঋণ নিচ্ছি। কিন্তু সময় এসে গেছে, আমরা আর ঋণ নেব না, আমরা ঋণ দেবো। আমাদের ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে।

শুক্রবার (৪ জুন) বিকেল বাজেটোত্তর সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাজেট ঘাটতি ও রাজস্ব আয়ের ভারসাম্য বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্র আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অর্থনীতি কিন্তু সম্প্রসারণশীল। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্ণধার যারা আছেন, তারা এখন সম্প্রসারণশীল অর্থনৈতিক নীতি অনুসরণের পক্ষে। আমাদের যে অবস্থান, শুধু এশিয়াতে নয়, সারাবিশ্বেই আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আলোচনার বিষয়। আপনারা এটি মানেন আর না মানেন, এটিই সত্যি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে জিডিপি, সে অনুপাতে ঋণ খুব বেশি বলা যাবে না। আমাদের জিডিপি-টু-ডেট বেশি (জিডিপির সঙ্গে ঋণের অনুপাত) ৪০-এর অনেক নিচে। এই অনুপাত কিন্তু ভারত-চীনের অনেক বেশি। ফলে আমাদের যে ঘাটতি আছে, সেটি আমরা বহন করতে পারব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ জুন আমাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ঠিক একবছর পর, ২০২০ সালের ৩০ জুন এই রিজার্ভ ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলার। একবছরে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে। এরপর ছয় মাসের মধ্যে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রিজার্ভ ৪৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। কাল (বৃহস্পতিবার, ৩ জুন) বাজেট উত্থাপন করলাম, কালকে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৪৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই বছরের মধ্যে কিন্তু আমাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের সক্ষমতা আছে। আমাদের এখন ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে, আমরা সেই সময়ের খুব কাছাকাছি আছি।

বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় প্রত্যয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতেও কিন্তু বাজেটের ঘাটতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আমরা আশাবাদী, মানুষের জীবন ও জীবিকা যদি আমরা রক্ষা করতে পারি, আমরা সঠিকভাবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, আমরা নিশ্চয় সফল হব। আমরা এই বাজেটের ঘাটতি মোকাবিলা করতে পারব, ধীরে ধীরে বাজেট ঘাটতিও কমিয়ে আনব।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.