চট্টগ্রামে গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মীরা জামিন মেলেনি

চট্টগ্রামে মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ জুয়েল দেবের আদালতে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে জামিন এবং রিমান্ড নামঞ্জুর করেন।

গ্রেফতার জামায়াত-শিবিরের ১১ নেতাকর্মী হলেন- মাসুদ পারভেজ (৩৫), শেখ তাজুল ইসলাম (৩৫), ইমরান হোসেন (২২), বেলাল হোসেন (৪১), তৌহিদুজ্জামান (৩৮), আরিফুল ইসলাম (৩৯), ইসমাইল দাউদ (৩৩), সোহেল (২২), নূর মোহাম্মদ (৩২), আব্দুর রহমান (২৪) ও রুবেল (৩০)।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দীন মজুমদার বলেন, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াত-শিবির পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর মাদ্রাসার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও হামলা করা হয়। জামায়াতের কর্মীদের হামলায় পুলিশের একটি গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৪২৭ ধারায় মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জন পরে আরও দুজনসহ মোট ১১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ছাড়া সোমবার রাতে আরেক দফা আরও ১০ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলায় আজ রিমান্ড ও জামিন আবেদনের শুনানি হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শনিবার সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন শুলকবহর মাদ্রাসার সামনে থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বহদ্দারহাটে গিয়ে শেষ হয়। বহদ্দারহাট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াত নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। এ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।

শনিবার সন্ধ্যায় নগরের চান্দগাঁও থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় জামায়াত-শিবিরের ২৬৮ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করেছে। বাকি ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.