ঢাবির হলে যুবককে পিটুনি, ঢামেক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক 


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মারধরের এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঐ ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বুধবার দিবাগত রাতে ঐ যুবকের ঢামেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বেশ শোরগোল পড়েছে।

পুলিশের বরাতে এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, রাত ১২টার একটু পরে এই লোককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর হাসপাতাল মৃত ঘোষণা করলে সেই ‘শিক্ষার্থীদের’ আর পাওয়া যায়নি। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে পিটুনিতে জখমের চিহ্ন রয়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোরগোল ও বিচার দাবি: এমন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ শোরগোল পড়েছে; বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে। যেখানে শিক্ষার্থীরা এই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।

এ ঘটনায় হাফেজ আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, “এফ এইচ হলের ভাইদের বলবো, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করুন। তাদের কে পালাতে দিবেন না। এই হত্যার বিচার না করলে সবাই ঢাবিকে ধিক্কার দিবে।”

এ ঘটনা খুন আখ্যা দিয়ে শাওন শাহানূর মেহেদী নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, “কয়েক যুগ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন। এ খুনের বিচার হতেই হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থীকে সোচ্চার হতে হবে।”

নিহত ঐ ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে অনেকেই উল্লেখ করেছেন। ইফতেখার রহমান নামে একজন লিখছেন, “মানসিক ভারসাম্যহীন একটা লোককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো। এই খুনিরা যাতে কোনোক্রমে ছাড় না পায়, সবাই আওয়াজ তুলুন প্লিজ। অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।”

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে “মব জাস্টিস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ‘Bring Back Justice’ কর্মসূচি” পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.