এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী ছিলেন গণমানুষের প্রিয় নেতা’ আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ের উজ্জীবিত মশাল

মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের আমৃত্যু সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত জননেতা এডভোকেট সুলতান উল কবির চৌধুরী সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও সিটি সুলতান খ্যাত একজন সাহসী নেতা ছিলেন। ছাত্র রাজনীতির গন্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নগর এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে খন্দকার মোশতাকের পেটুয়া বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। রবিবার (৩০ জুন) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরীর ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন।

 

উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম মনচুর আলীর সঞ্চালনায় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার সভাপতিত্বে
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী গালীব সাদলী, কালিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. শাহাদাত আলম, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী , পৌরসভার মেয়র এড.তোফায়েল বিন হোছাইন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহানা আক্তার কাজমী,বৈলছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন, মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র রোজিয়া সুলতানা রোজি, কাউন্সিলর প্রনব দাশ,কাউন্সিলর ইসহাক, কাউন্সিলর বদিউল আলম, কাউন্সিলর আক্তার হোসেন, কাউন্সিলর কাঞ্চন বডুয়া,
আওয়ামীলীগ নেতা আবু জাফর, মাওলানা আকতার হোছাইন, জাফর আহমদ, মেম্বার সেলিম, মাসুদুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেকলীগের সভাপতি মনজুর আলম, পৌরসভা সেচ্ছাসেকলীগের সাঃ সম্পাদক শাহাব উদ্দীন রবিন, যুবলীগ নেতা মিজান সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈমুল হক মাহফুজ, যুবলীগ নেতা ওসমান, যুবলীগ নেতা হারুন রশিদ, ,যুবলীগ নেতা মো:গিয়াসউদ্দিন, যুবলীগ নেতা পিরোজ শাহী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান আবিদ, যুবলীগ নেতা মোরশেদুর রহমান নাদিম, ছাত্রলীগ নেতা বাহাদুর, ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ আলম সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

 

 

 

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, এড. সুলতান উল কবির চৌধুরী ছিলেন ন্যায় ও আদর্শের মূর্ত প্রতীক। তিনি এলাকার উন্নয়ন এবং সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখেন। তিনি ন্যায়-নীতির প্রশ্নে কোন অবস্থাতেই কাউকে ছাড় দিতেন না। দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারী ছিলেন এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী । নানা জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন কিন্তু কখনো বিচ্যুত হননি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে। সুলতানুল কবির চৌধুরী ছিলেন রাজনীতির আইডল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুলতানুল কবির চৌধুরী চিরদিন অমর হয়ে থাকবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, এড.সুলতানুল কবির চৌধুরী যেমন ছিলেন সাহসী নেতা-তেমনি ছিলেন দলের জন্য ত্যাগী। বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে সব সময় নিবেদিত ছিলেন। ওনার মতো এমন ত্যাগী নেতা খুব কমই আছে। দলের এমন আদর্শবান নেতাকে আমাদের সব সময় স্মরণে রাখা উচিত।

তিনি আরো বলেন, এড. সুলতানুল করিব চৌধুরী আওয়ামী রাজনীতির একটি আদর্শের নাম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলের দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দলের প্রতি দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে যে কয়জন নেতা নিজের জীবন তুচ্ছ করে রাজপথে প্রতিবাদ করেছিলেন তার মধ্যে আমাদের নেতা মরহুম এডভোকেট সুলতানুল কবির চৌধুরী ছিলেন তাদের অন্যতম। রাজনীতিতে ওনার মতো নীতিবান-আদর্শবান নেতা খুব কম আছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি গণমানুষের নেতা ছিলেন । দলের ঐক্যের প্রতীক সুলতানুল কবির চৌধুরী সর্বক্ষেত্রে সফল মানুষ ছিলেন। সকল প্রলোভনকে উপেক্ষা করে তিনি আওয়ামী লীগে বিশ্বস্ততার সাথে ছিলেন আবার নির্যাতনের মুখেও অকুতাভয়ভাবে আওয়ামী লীগ করেছেন। তার মত নেতা আমাদেরকে ত্যাগের শিক্ষা দিয়েছেন। সুলতানুল কবির চৌধুরী নিজ গুণে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন।

 

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.