চট্টগ্রামে কোটাবিরোধীদের টার্গেট এখন ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগের রগ কেটে ও চোখ উপড়ে ফেলে তারা সন্ত্রাসী কায়দায়-

 

নিজস্ব প্রতিবেদক 

 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে চট্টগ্রামে এসব কী হচ্ছে? মুখোমুখি কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের জালালের চোখ তুলে দেয় আন্দোলনকারীরা। ছয় তলা ভবন থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয় মাহিবিসহ আরও তিন ছাত্রলীগ নেতাকে। একইসঙ্গে রগ কেটে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইরফানের।

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে রক্তাক্ত প্রায় ২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। ছাত্রলীগের আহত নেতাকর্মীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এমন নির্মম দৃশ্য আগে দেখেনি কেউ।

 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনভর থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। দুপুর গড়াতেই মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীরা। বিকালেই সংঘর্ষে জড়ায় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০০ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী জালাল উদ্দিনের চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ করেন তার সহপাঠীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রলীগকর্মী মাহিবি চৌধুরীকে ছয় তলার একটি ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনের অন্তত ৭০ জন ভর্তি আছে। এদের মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম কলেজে ১৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আহতদের মধ্যে ইরফান, পাভেল, সুজন, আবদুল্লাহ আল সাইমুন, মাহিবি, ইকবাল, জাহেদ অভি, ইরফানুল আলম চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আহত জাহেদ অভি বলেন, আমরা যখন দু’নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান করি, তখন অক্সিজেন থেকে একটি মিছিল আসে। এরপর মিছিলটি আমাদের সবাইকে ঘিরে ফেলে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। সেখান থেকে প্রাণে বাঁচতে, যে যার মত দৌঁড় দেয়। এসময় আমিসহ ১০ জন একটি ভবনে উঠে গেলেও কোটাবিরোধী ছাত্ররা আমার সঙ্গে থাকা দুজনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। আমাকে ১০ মিনিট ধরে পেটাতে থাকে। পরে ছুরি দিয়ে জালালের চোখ উপড়ে ফেলে আন্দোলনকারীরা।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে পারছে না। আন্দোলনকারীরা ভিড় জমিয়েছে হাসপাতালেও। এতে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.