দলিল জালিয়াতি চক্রের হাতেই মারাত্মক আহতের অভিযোগে, এক কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন

সাতকানিয়া পৌরসভার ভোয়ালিয়া পাড়া-

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি 

সাতকানিয়ায় পারিবারিক বিরোধে এক কাউন্সিলরকে আপন বড় ভাই ও স্ত্রীসহ কিছু দূর্বৃত্তরা মিলে কুপি জখম করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

আহত কাউন্সিলর সাতকানিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়া পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল গফুর চৌধুরীর ছেলে মো: আরাফাত উল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার বিকালে সাতকানিয়া পৌরসভার আহত কাউন্সিলর আরাফাত উল্লাহ হামলার বিষয়ে তার আপন বড় ভাই জহির উল্লাহ ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আহত জহির উল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন- গত ১৯শে আগষ্ট বিকাল ৪.৩০ এর নাগাদ সাতকানিয়া পৌরসভার আমার মৌরশী হেবা ও দানমূলে খরিদকৃত নির্মিত AG টাওয়ারের প্রবেশ মুখে আমার বড় ভাই দলিল জালিয়াতি চক্রের সদস্য ও ভূমিদস্যু জহিরুল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও কিছু তাদের ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনা ঘটায়।

তারা আমার মাথায় ও শরীরে বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে জখম করে পরে আমার স্ত্রী ও এলাকার আশেপাশে লোকজন চলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে আমাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নিয়ে গিয়ে মাথায় সেলাই ও চিকিৎসা করা হয়।

এসময় তিনি আরো বলেন, মূলত ২০১৫ সালে আমি আর আমার ভাই সন্ত্রাসী জহির উল্লাহসহ সবাই মিলে ১কোটি টাকার প্রাথমিক ফান্ড গঠন করে একটি চুক্তির অনুবলে নির্মান কাজ শুরু করি,পরে দেড় কোটি টাকা খরচ করে মোট ১৮ টি ইউনিট সম্পন্ন করি যা ৫তলা বিশিষ্ট।

কিন্তু আমার নামীয় হেবা দলিল ও নামজারী খতিয়ানকে সন্ত্রাসী জহির অস্বীকার শুরু করে যার ফলে ২০২২সালে আমার অন্যান্য ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়াদের ভাড়া প্রদান না করার জন্য বলে দেন।

পরে আমি আরাফাত উল্লাহ বাদী হয়ে সাতকানিয়া যুগ্ন জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি,পরে সন্ত্রাসী জহির উল্লাহ বিভিন্ন সময় আমার ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করিলে আমি আদালতে তার উপর নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করলে, আদালত তার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচার করেন।

সেই থেকে সে জহির উল্লাহ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানহানিকর মামলা দিয়েই যাচ্ছে একের পর এক, তবুও আমাকে কোনঠাসা করতে না পেরে সর্বশেষ গত ১৯শে আগষ্ট আমাকে মেরে ফেলার পূর্বপরিকল্পিত অংশ হিসেবে আমাকে সন্ত্রাসী জহির উল্লাহ এবং তার স্ত্রী ও ভাড়াটে দূর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে।

আমি এই সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.