পটিয়ায় মামুন খুনের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার

 

আ ন ম সেলিম ,পটিয়া (চট্টগ্রাম) :

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিদেশ ফেরত মামুন খুনের ঘটনায় বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী ভুলু (৫০) গ্রেফতার হয়েছেন।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বসতবাড়ি থেকে তাকে আটক করে পটিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আইয়ুব আলী উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ডেঙ্গাপাড়া দরগাহ ভিটা এলাকার মৃত ছৈয়দ মেম্বারের ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সন্ত্রাসী ফাহিমের বাবা।

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: নুরুজ্জামান জানান, “মামুন হত্যা মামলার ৪নং আসামি আইয়ুব আলী বুলুকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হবে।” এছাড়া অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর আছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ভূর্ষি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী ফাহিম ধারালো ছুরি দিয়ে মামুনকে উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুনে মারা যান।

নিহত মামুন দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া এলাকার আবুল বশরের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও মাত্র সাত মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

হত্যার পরদিন নিহতের স্ত্রী আখি আক্তার বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফাহিমকে প্রধান আসামি, তার চাচাতো ভাই রানাকে ২নং আসামি, ভাই ফারহানকে ৩নং আসামি এবং বাবা আইয়ুব আলীকে ৪নং আসামি করা হয়। এছাড়া আরও ৩–৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পরপরই পটিয়া থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফাহিম দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলেও প্রভাবশালী হওয়ায় সবসময় আইনের বাইরে থেকে গেছেন।

উল্লেখ্য, মামুন হত্যার আগের দিন একই এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা হয় ফাহিমের বিরুদ্ধে।

 

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.