দাখিলার অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ তহসিলদার হারেজ ও রিয়াজের বিরুদ্ধে
তুলাতলি ভূমি অফিসে হরিলুট মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে রিয়াজের চলছে দাপট।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী মো:হারেজ ও এরশাদ রিয়াদের বিরুদ্ধেও ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা ঘুষ আদায় করছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হারেজের নেতৃত্বে রিয়াজ এবং ভূমি উপসহকারী মো:এরশাদ।
বাংলাদেশ সরকার ভূমির নামজারির ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও তিনি সর্বনিম্ন ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। আর অশিক্ষিত মানুষের কাগজপত্রে ত্রুটি না থাকলেও তারা তিনজনে মিলে ভুল বুঝিয়ে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করছেন বলে এমন অভিযোগ অনেকের।
হারেজ আহমদ চরতী তুলাতলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই নামজারি ও দাখিলায় ঘুষ-বাণিজ্য করেছেন প্রতিমাসে প্রায় ৩ লাখ টাকা।
সামান্য ভুল থাকলেও জমির মালিকদের কাছ থেকে নিজে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। কেউ টাকা না দিলে তারা কোনো কাজই করেন না এবং কাগজপত্র তালাবদ্ধ করে রেখে দেন।
এদিকে গভীর অনুসন্ধানে দেখা যায় কাঞ্চনা ইউনিয়নের লতাপীর বাজার সংলগ্ন অর্পিত সম্পত্তির একটি অবমুক্তি সংক্রান্ত কতেক ওয়ারিশসূত্রে নামজারী খতিয়ান নং ২৫-৬৪৬৩ এটাতে প্রস্তাব পাশ করতেই দেয়া হয়েছে ১লক্ষ টাকা এবং দাখিলায় দেয়া হয়েছে ৫লক্ষটাকা।
উক্ত খতিয়ানটি অনুমোদন দিয়েছেন এসিল্যান্ড কফিল উদদীন মাহমুদ গত ১০/৮/২০২৫ তারিখে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ওই খতিয়ানের সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে আড়াইকোটি টাকা,যে ব্যক্তি আড়াই- কোটি টাকার সম্পদ বিক্রি করেছেন তার কাছে ৬লাখ টাকা দাবী করেছে বিধায় অকপটে দিয়ে দিয়েছেন তহসিলদার হারেজ আহমদকে।
তবে এই বিষয়ে দায়িত্বে ছিলেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তুলাতলী ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী মো:এরশাদ, তিনি বলেন দাখিলা আদায় বিষয়টা আমার হলেও কাঞ্চনা ইউনিয়নটা বড়মিয়া হারেজ আহমদের দায়িত্বে।
এদিকে একাধিক ব্যক্তি বলেন কাঞ্চনা ইউনিয়নে নাল জমি ভরাট করে ফুলতলাসহ একাধিক জায়গায় মার্কেট নির্মান হওয়ায় ওই ইউনিয়নের একক দায়িত্বে হারেজ আহমদ।
এদিকে অতিরিক্ত টাকা গ্রাহক রিয়াজদের দিলে আমি কি করব! এবং আমি ঘুস বানিজ্য না করার জন্য ভেতরে বাইরে নোটশ টাঙ্গায়ছি বলে জানা অভিযুক্ত তহসিলদার হারেজ আহমদ।
এদিকে কর্মচারী অভিযুক্ত মো:রিয়াজ সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেদকের পরিচিত বিভিন্ন জনকে ধরে প্রতিবেদককে জানান,ভাই আমার কি দোষ আমাকে বড়কর্তা হারেজ আহমদ যেরকম নির্দেশনা দেন সেরকম টাকা নিই।
এবং রিয়াজ আরো বলেন এখানে এরশাদ সাহেবেরও কোন দোষ নেই।
আমরা যা নিই সব হারেজ আহমদকে দিয়ে দিই ওনি পরে যেরকম করে সেরকম সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু শত্রুতামূলক ভাবে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে নিউজ করাচ্ছে।
এবং রিয়াজ প্রতিবেদককে আরো বলেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে নিউজ করিয়েননা হারেজ আহমদের দূর্নীতির তথ্য আরো পাবেন।
রিয়াজ আরো বলেন আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে যা বলি সব সত্য বলি।
অফিসের বড়কর্তার ইশারা ছাড়া আমার বা আমাদের করার কিছু নেই।
এদিকে এই বিষয়ে সাতকানিয়া থানায় সদ্য যোগদান করা উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সামছুজ্জামান বলেন-বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখতেছি যেহেতু অতিরিক্ত টাকা আদায় করার রেকর্ডটি আমার কাছে আছে আর আপনিও নথির মামলা নম্বরটা আমাকে দিন।