সারাদেশে নীরবতা, চট্টগ্রামে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মৌন মিছিল

 

সারাদেশে আওয়ামী লীগ কর্মীরা নীরব থাকলেও স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা গেল চট্টগ্রামে। যেখানে আইনজীবীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে আয়োজন করেন মৌন মিছিলের। আদালত প্রাঙ্গণে মিছিলের শব্দহীনতা যেন কোনো প্রতীকী বার্তা বহন করছিল।

রায় ঘোষণার পর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে দুপুরে জড়ো হন ১০ থেকে ১৫ জন আইনজীবী। তাদের গায়ে ছিল চিরচারিত কালো পোশাক। সেই কালো পোশাকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুখে কালো কাপড়। তারা সকলেই ওই কালো কাপড় মুখে গুজে নীরবে হাঁটা শুরু করেন।

মিছিলে অংশ নেয়া অনেকেই মনে করেন, এই রায় বাংলাদেশের জন্য এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করেছে। যে বাস্তবতায় প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিন্তু শব্দহীন, বিক্ষোভবিহীন।

আইনজীবী জোবায়দা সারোয়ার নিপা বলেন, ‘অবৈধ সরকারের প্রহসনমূলক এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক একটি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করেছি।’

রায় ঘোষণার পরপরই সচরাচর যেটা দেখা যায়, দলীয় কার্যালয়ে জটলা, গণমাধ্যমের সামনে বিবৃতি, সড়কে অবস্থান কর্মসূচি এবার তার কিছুই দেখা যায়নি। কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো অবস্থান নেয়া হয়নি। মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও দেখা যায়নি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাতে।

অনেকে বলছেন, দলটির বর্তমান গোপনীয় কাঠামো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রায়ের পরপরই জনমতের চাপ -এই তিনটি কারণেই হতে পারে এই অস্বাভাবিক নীরবতা। এছাড়া এটা নিছক নীরবতা নয়, এটা এক ধরনের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ বলেও ধারণা অনেকের। রাস্তায় বিক্ষোভ নেই ঠিকই, কিন্তু চায়ের দোকানে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, অফিস ক্যান্টিনে, দেশজুড়ে আলোচনার ঝড়। রায়ের নৈতিকতা, প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, আইনগত পথ, সব নিয়ে প্রশ্ন, মতামত, উদ্বেগ ঘুরে ফিরে আসছে।

কাজির দেওড়ি এলাকায় এক শ্রমজীবী জানান, ‘বৃহৎ রাজনৈতিক রায়ের পর দেশ এত চুপ, এটা নতুন অনুভূতি। মানুষ তাকিয়ে আছে, এর পর কী হবে

 

সোর্স :পতাকা নিউজ

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.