রোহিঙ্গাদের কোনোভাবে আশ্রয়, বাসা ভাড়া বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সম্প্রতি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কোন ধরনের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। স্থানীয় জনসাধারণকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে এবং কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারির পরই এ নিয়ে নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কালিয়াইশ ইউনিয়নের কাঠগড় ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের হরিণতোয়া ও বাজালিয়া ইউনিয়নের হলুদিয়া এলাকায়।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বছরের পর বছর ধরে একাধিক রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া নিয়ে আবার কেউ কেউ বন বিভাগের জায়গায় ক্রয় করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। কেউ কেউ নিকটবর্তী বাজার ও কারখানায় দৈনিক মজুরির কাজও করছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা চোখে পড়ছে না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বিষয়টি বহুবার অনানুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, উপজেলা প্রশাসনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি কি এসব পরিবারের জন্য প্রযোজ্য নয়, নাকি প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত নন?
এদিকে প্রশাসনের ঘোষণার পরও রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান অব্যাহত থাকায় জনমনে শঙ্কা ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর দ্রুত তদন্ত করে বাস্তব পরিস্থিতি পরিষ্কার করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।