বাঁশের সাঁকোই ভরসা হাজারো মানুষের, নিরব ভূমিকায় পৌরকতৃপক্ষ!

 

বাঁশখালী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার পূর্ব জলদী ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে অবস্থিত চড়ার উপর দিয়ে দুই গ্রামের হাজারো মানুষের একমাত্র চলাচলের পথ হলো একটি বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে জনগণ চলাচল করে আসছে বছরের পর বছর। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। চড়ার উপর স্থায়ী কোনো ব্রীজ না থাকায় নিজেদের নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত সাঁকোটি প্রতিবছর মেরামত করেন নিজেরাই। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান চান এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক-দুই দিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে অনেকেই। বর্ষায় এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে। তাঁতে ও সাঁকো মেরামতে পৌরকতৃর্পক্ষের কোনো তদারকি নেই। প্রতিবছর এলাকার বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। জনপ্রতিনিধিরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও পরে আর তা বাস্তবায়ন হয় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাই অবিলম্বে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণে পৌরকতৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বশর, আবুল খায়ের, মোঃ কাদের, রফিক জানান, ‘গত বর্ষায় যাতায়াতের জন্য গ্রামের লোকজন নিজ খরচে বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করেন। একটি সাঁকো এক বর্ষা পার করার পর আর ব্যবহার করা যায় না। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের কাছে আমরা বেশ কয়েকবার ধরনা দিলেও শুধু পেয়েছি আশ্বাস। কাজের কাজ কিছুই হয়না।

বাঁশখালী পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ বলেন, ব্রীজ অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বাঁশ গাছ দিয়ে প্রতিবছর মেরামত করে। মাসিক মিটিংএ বেশ কয়েকশবার উক্ত জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য মেয়র মহোদয়ের নিকট উত্তাপন করেছি। পাশাপাশি কাজীর পাড়া এলাকায় গত র্বষায় ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা ঘাট সংস্কার না করায় এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত গালি দিচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে ওনার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
স্থানীয় পাহাড়ী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য দাম প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নং টি বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.