খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রত্যাশার পর অবশেষে অনুমোদন পেলো খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি। ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেতে লেগে যায় প্রায় ২ বছর৷ খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় পুর্নাঙ্গ কমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা দিলে তার অনুমোদন আসেনি। সম্প্রতি পুনরায় কমিটির খসড়া কেন্দ্রে জমা দিলে সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে অনুমোদন দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক্ষেত্রে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পরামর্শ নেওয়া হয়। কমিটিতে নতুনভাবে সদস্যপদ লাভ করেছেন সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা। সম্প্রতি ৭১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগ ও ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সভাপতি, নির্মলেন্দু চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক ও দিদারুল আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে মংক্যচিং চৌধুরী, শামসুল হক ও তপন কান্তি দে’কে সহ সভাপতি হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পুনরায় সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা। চাইথোআই মারমা, কংজারী চৌধুরী, কল্যান মিত্র বড়ুয়া, ম্রাগ্য মারমা, এ্যডভোকেট মহিউদ্দিন কবির ও সমির দত্ত চাকমা সহ সভাপতি পদেই পুনঃবহাল রয়েছেন। সাবেক সহ সভাপতি জাহেদুল আলম ও বীর কিশোর চাকমাকে উপদেষ্টা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদ পেয়েছেন এম এ জব্বার, এ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা ও মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল। কমিটির অন্যান্য পদে নতুন যারা এসেছেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শওকত উল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক শুভ মঙ্গল চাকমা, দপ্তর চন্দন দে, উপ-দপ্তর নুরুল আজম, ধর্ম বিষয়ক নুর হোসেন চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ নিলোৎপল খীসা, উপ প্রচার কাজী রফিকুল ইসলাম মিন্টু। পূর্বের পদে রয়েছেন অর্থ বিষয়ক গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আইন বিষয়ক এ্যাডভোকেট রতন কুমার দে, তথ্য ও গবেষণা রনজিৎ কুমার দে, সাংস্কৃতিক শিব শংকর দেব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সালেহ আহমদ, মহিলা বিষয়ক শতরুপা চাকমা, প্রচার সম্পাদক ক্যজরী মারমা, শিল্প ও বানিজ্য এস অনন্ত ত্রিপুরা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শফিউল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক রূপম বড়ুয়া, শ্রম বিষয়ক কামাল পাটোয়ারী। তবে উপ দপ্তর থেকে জুয়েল চাকমাকে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক পদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পরেছেন ধর্ম বিষয়ক হোসেন আহমদ চৌধুরী। নতুনদের মধ্যে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ কাশেম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শানে আলম, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির পুত্র ভারতেশ্বর ত্রিপুরা বাতু,সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরীর পুত্র আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরার পুত্র অপূর্ব ত্রিপুরা, মরহুম নুরুন্নবী চৌধুরীর পুত্র শামীম চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কৈলাশ ত্রিপুরা, এ্যাডভোকেট নুর উল্লাহ হিরো, মনির আহমেদ, জসিম উদ্দিন, উমেষ চাকমা, বাহার মিয়া, সতিশ চাকমা, জয়নাথ দেব, শফিকুল ইসলাম, তাপস কুমার ত্রিপুরা, অনন্ত ত্রিপুরা, বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আব্দুর রাজ্জাক।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.