জোড়া গোলে ফ্রান্সকে জয়ে ফেরালেন গ্রিজম্যান

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইউরোপিয়ান প্রথম দুই ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এর আগে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেও বাদ পড়েছিল আগেভাগেই। অবশেষে হোঁচট খাওয়া ডিঙিয়ে জয়ের দেখা পেল গ্রিজম্যান-বেনজেমারা। অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের জোড়া গোলে ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ ‘ডি’র প্রথম দুই ম্যাচে বসনিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র করেছিল ফ্রান্স। এরপর মঙ্গলবার রাতে ২-০ গোলের জয় পেল দিদিয়ের দেশম্পের দল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের স্বাদ পেল তারা।

২০২০ ইউরোর গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে জয়ের পর পর্তুগাল ও হাঙ্গেরির বিপক্ষে ড্র করেছিল ফ্রান্স। আর শেষ ষোলতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই বিদায় নিয়েছিল দলটি। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বসনিয়া ও ইউক্রেনের বিপক্ষে ড্র করে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন থাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে অবশেষে গেরো কেটেছে ফ্রান্সের।

চোটে পড়ে প্রথম ম্যাচের পরেই ছিটকে যান কিলিয়ান এমবাপে। তবে তাকে ছাড়াও দুর্দান্ত দলই সাজিয়েছিলেন দেশাম্প। করিম বেনজেমা, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান এবং অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ গোটা ম্যাচ জুড়েই ফ্রান্সের আধিপত্য ধরে রাখে।

ম্যাচের ২২তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে প্রথম ভালো সুযোগ পায় তারা। ডি-বক্সে গ্রিজমানের বাড়ানো বলে করিম বেনজেমার শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ফিনল্যান্ডের গোলরক্ষক। ২৫তম মিনিটে গ্রিজমানের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে অ্যান্থনি মার্শিয়ালের পাস পেয়ে ডি-বক্সে বল বাড়ান বেনজেমা। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন কদিন আগে বার্সেলোনা থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে ফেরা এই ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধ শেষ দিকে ৩৯তম মিনিটে করিম বেনজেমার দুর্দান্ত এক মুহূর্তের কারিকুরিতে ডি-বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শট রুখে দেন এক ফিনিস ডিফেন্ডার। এর দুই মিনিট পর সতীর্থের হেড পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে পল পগবার শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে বেনজেমার পাস পেয়ে ডি-বক্সে বাড়ান লিও দুবয়। পায়ের টোকায় একটু এগিয়ে কঠিন কোণ থেকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন গ্রিজম্যান। জাতীয় দলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে গ্রিজমানের গোল হলো ৪১টি। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে যৌথভাবে তিন নম্বরে তিনি। শেষ পর্যন্ত গ্রিজির জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।

গ্রুপ ‘ডি’র ৬ ম্যাচে ৩টি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফ্রান্স। ৫ পয়েন্ট করে নিয়ে ইউক্রেন তিনে, ফিনল্যান্ড চারে আছে। পরের দুটি স্থানে থাকা বসনিয়া ও কাজাখস্তানের সমান ৩ পয়েন্ট করে।

আরেক ম্যাচে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপাইয়ের হ্যাটট্রিকে তুরস্ককে ৬-১ গোলে হারিয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘জি’ গ্রুপের শীর্ষে আছে নেদারল্যান্ডস। তরুণ ফরোয়ার্ড এর্লিং হালান্ডের হ্যাটট্রিকে জিব্রাল্টারকে ৫-১ গোলে হারানো নরওয়ের পয়েন্টও ডাচদের সমান।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.