চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়া রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ আমিনের (৪০) মরদেহ পরিত্যক্ত ঘরের মেঝে খুঁড়ে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিখোঁজের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এরা হলেন- উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের ই-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), শিবিরের একই ব্লকের মো. কাশেমের ছেলে আবদুল মোনাফ (২৬) ও মোহাম্মদ সালামের ছেলে মো. ইলিয়াছ (২৮)।
নিহতের পরিবার জানায়, ঘটনার দিন (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে চারজন লোক কাজের কথা বলে আমিনকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান। ওই দিন তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি। পরের দিন মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করলে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এর পর থেকে তাদের (অপহরণকারীদের) সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি। অবশেষে গতকাল সন্ধ্যায় উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আমিন টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২১ নম্বর চাকমারকূল রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের সি-৪ ব্লকের মুছা আলীর ছেলে। তিনি চাকমারকূল ২১ নম্বর শিবিরের সি-৪ ব্লকের সাব-মাঝি ছিলেন।
আটক আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান জানান, তিনজনকে আটকের পর তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে আমিনের লাশ উত্তোলন করা হয়। এরপর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী হাসন বশর স্বামী নিখোঁজের সময় পরনে থাকা কাপড়, প্যান্ট, বেল্ট দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।
চট্টগ্রাম সংবাদ/ আই এইচ।