চট্টগ্রাম নগরীতে বাস-মিনিবাসের জরিপ শুরু

চট্টগ্রাম নগরের সড়কে যেসব গণপরিবহন চলাচল করে তার জরিপ শুরু করেছে আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি (আরটিসি)। প্রথম দিন ১ নম্বর রুটে ১২০টি বাসের মধ্যে ৬০টি বাস ছিল।

বুধবার (১০ আগস্ট) নগরের জমিয়তুল ফালাহ মাঠে চলাচলরত বাস-মিনিবাসের জরিপ শুরু করে এ কমিটি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে গাড়িগুলো হাজির করতে হবে।

জানা গেছে, জরিপ চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। ১০ আগস্ট থেকে ১ নম্বর রুটে চলাচলরত বাস-মিনিবাস জমিয়তুল ফালাহ মাঠে কমিটির সদস্যদের দেখাতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি রুটের বাস-মিনিবাসের চালক/মালিককে মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে। নগরে ১৭টি রুটে চলাচল উপযোগী (সিলিং) রয়েছে ১ হাজার ৫৭৫টি বাস-মিনিবাস। কিন্তু এসব রুটে বর্তমানে ১ হাজার ১২৫টি বাস-মিনিবাস চলাচল করছে। সিলিং (গাড়ি চলাচলের উপযোগী) খালি রয়েছে ৪৫০টি।

বাস-মিনিবাস কমিটির আহ্বায়ক ও সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, নগরে কী পরিমাণ বাস-মিনিবাস রয়েছে আর কী পরিমাণ চলাচল করছে তা কিছুদিন পর পর জরিপ করা দরকার। তারই অংশ হিসেবে আজ থেকে বাস-মিনিবাসগুলো জরিপ করা শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এ জরিপের মাধ্যমে এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করছে কি না, সিলিং অনুযায়ী ওই রুটে সব গাড়ি চলে কি না, রুটে গাড়ি কয়টি আছে আর কয়টি নেই, রুটে নতুন কোনো গাড়ি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন আছে কি না, বাস-মিনিবাসগুলোর ইকোনমিক লাইফ (বয়স) পার হওয়ার পরও চলাচল করছে কি না চললেও কী পরিমাণ চলছে ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক বাস-মিনিবাস মালিককে রুট ভিত্তি কার্যক্রমের নির্দিষ্ট তারিখে গাড়ি ও গাড়ির যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাজির থাকতে হবে। জরিপে বাসের চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে কি না তা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। জরিপ চলাকালীন অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া জরিপকৃত কাগজপত্রের কোনো প্রকার ছবি তোলা যাবে না।

গত ২৩ মে’র আরটিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস-মিনিবাস জরিপ কমিটি ঘোষণা করে নগর আরটিসি’র সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীনকে।

সদস্য রয়েছেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ, ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মমতাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) প্রশাসন জহুরুল ইসলাম সরকার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মলিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.