চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ জঙ্গী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে সকল সূচকে বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাফল্য বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার ব্যাপক অগ্রগতি এবং সক্ষমতা অর্জন অর্থনীতির ভিত্তিকেও করেছে টেকসই ও মজবুত।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ডা: এয়াকুব বজলুর রহমান সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, এস.এস.সি পরীক্ষায় A+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এরফানুল করিম চৌধুরীর সংবর্ধনা, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার আলোয় এখন আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। একসময় বিপুলসংখ্যক কোমলমতি শিশু স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ পেতো না। অনেকে আবার স্কুলে গেলেও প্রাথমিক পর্যায় থেকে ঝরে পড়তো। পাবলিক পরীক্ষায় ছিল নকলের ছড়াছড়ি। ফল প্রকাশে যেমন দেরি হতো। স্কুলে যথাসময়ে পাঠ্যবই পেতো না শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার বদলে দিয়েছে এসব কিছু। হাজার হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপরিসর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে দেশে একই সাথে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেল, চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ সিমান্ত পর্যন্ত রেল লাইন, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে রাস্তা- ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এমন কোন জায়গা নেই যেখানে উন্নয়নের ছুঁয়া লাগেনি। তিনি বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে চাইলে জামায়াত বিএনপির বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকতে হবে। জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশে জঙ্গিবাদ এবং অশান্তি সৃষ্টি হবে। বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৯ বছর আগে কলাউজান কিরকম ছিল এবং বর্তমান কিরকম হয়েছে সেটা জনগণ বিবেচনা করবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফ উল্যাহ, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী প্রদিপ কুমার সরকার, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এটর্নি এডভোকেট মকবুল আহমদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপেজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিবাস দাস সাগর, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আখতার আহমদ সিকদার, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ ওয়াহেদ, চেয়ারম্যান, আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, চরম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন, পুটিবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক, পদুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, উপজেল আওয়ামীলীগের সদস্য এস.এম আবদুল জব্বার, এইচ এম গণি সম্রাট, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা মিয়া মুহাম্মদ শাহজাহান, সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জহির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হান্নান ফারুক,সাতকানিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হারেজ মুহাম্মদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি নুরুল আলম সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফুর রহমকন চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক অরুন কান্তি পাল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও লাইলা বিলকিছ।