রোমাঞ্চ ছড়িয়ে রিয়াল-সিটি ম্যাচ অমীমাংসিত

 

এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের প্রথমার্ধ দাপটের সঙ্গে খেললো ম্যানচেস্টার সিটি। তবে গোল এলো ভিনিসিয়াস জুনিয়য়ের কাছ থেকে। রিয়াল মাদ্রিদ প্রথমার্ধ শেষ করলো ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে গেল ম্যাচের পরিস্থিতি। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য তবে গোলের দেখা মিললো কেভিন ডি ব্রুইনের দূরপাল্লার অবিশ্বাস্য এক শট থেকে। আর তাতেই ম্যাচের ভাগ্য অমীমাংসিত ১-১ গোলে।

মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি ম্যাচ জিততে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ। এরপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কেভিন ডি ব্রুইনের বুলেট শটে পরাস্ত থিবো কোর্তোয়া। আর তাতেই রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ হলো অমীমাংসিতভাবে।

বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে সিটি। পাল্টা আক্রমণ শুরু করল রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৬তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের অসাধারণ নৈপুণ্যে এগিয়েও গেল তারা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইয়ে যদিও সেই ব্যবধান রইল না। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত গোলে স্বস্তি নিয়ে ফিরল পেপ গার্দিওলার দল।

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে রিয়াল-সিটি ম্যাচ অমীমাংসিত

ম্যাচের তখন মাত্র তিন মিনিটের খেলা চলছে। এর মধ্যেই ম্যানচেস্টার সিটি বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে বেশ কয়েকটি আক্রমণও সাজাল তবে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটা এলো রিয়ালের কাছ থেকেই। বেনজেমার দারুণ ব্যাকহিল পাস ধরে সাইডলাইন ধরে আক্রমণে ওঠেন ভিনিসিয়াস। সমান গতিতে এগিয়ে যান বেনজেমা; তবে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে গিয়ে সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি।

মিনিট পাঁচেক পরে ডি বক্সের বাইরে থেকে কেভিন ডি ব্রুইনের দূরপাল্লার দারুণ এক শট লাফিয়ে রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। এরপর ম্যাচের ১৪তম মিনিটে রদ্রির দারুণ এক মাটি কামড়ানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক। এরপর বেশ ব্যস্ত সময় কাটে বেলজিয়ান এই গোলরক্ষকের। পরপর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পান এর্লিং হালান্ড কিন্তু প্রথমবার গোলরক্ষক বরাবর শট নেওয়ার পর হেডও করেন ওই একইরকম।

প্রথম দিকে আক্রমণ করে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল সিটিজেনরা। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় রিয়াল। একের পর এক দারুণ কিছু আক্রমণ সাজাতে শুরু করে রিয়াল। ৩৪তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ শাণায়। তবে ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বেনজেমা বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টায় তার হাতে বল লাগে। তবে গোলের জন্য আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। ৩৭তম মিনিটের মাথায় বাঁ থেকে এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গার পাস ধরে একটু আড়াআড়ি ছুটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম ও প্রথমার্ধে একমাত্র শট।

এতেই প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.