কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে কৃষি জমি ও ঘর প্লাবিত

রাংগামাটি প্রতিনিধি:
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ের পানির ঢল এর কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যা গতবারের চেয়ে অনেক বেশি যার ফলে লংগদু উপজেলা মাইনীমুখ ইউপির গাঁথাছড়া বড়কলোনি, এফআইডিসি, মাদ্রাসাটিলা,বগাচতর ইউনিয়নের গাউসপুর, ফরেস্ট টিলা, জালিয়াপাড়া, ফোরেরমূখ, ভাসান্যদম ইউনিয়নের ভাসান্যদম এলাকা, গুলশাখালী ইউনিয়নের ডিপোরমুখ, সোনারগাঁও এলাকা, লংগদু সদর ইউনিয়নের তিনটিলা, ঝর্ণাটিলা, কালাপাকুজ্জ্যা ইউপির রসুলপুর, রাজাপুর, রহমতপুর, হোসেনপুর, বাজার টিলা ও শিবির বাজারের একাংশ, এবং আটারকছড়া ইউপির উত্তর ইয়ারংছড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো পরিবার। প্লাবিত সকল ইউনিয়নে কমবেশি সহযোগিতার হাত অনেকেই বাড়িয়েছেন কিন্তু আটারকছড়া ইউপির ৬ ওয়ার্ড উত্তর ইয়ারংছড়ি এখনো কোন সহযোগিতার আশ্বাস ও কোন প্রকার সাহায্যও পাননি গ্রামের মানুষ,আটারকছড়া ইউপির ৬ ওয়ার্ড উত্তর ইয়ারংছড়ি শত একর অধিক কৃষি জমি ও ৫৯ ঘর পানির নিচে ,গো-চারণ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গৃহপালিত পশু হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে পানি বন্দি এসব মানুষ। এদিকে লংগদু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি লোকজনদের শুকনো খাবার বিতরণ করলেও এসব শুকনো খাবার পৌঁছায়নি আটারকছড়া ইউপির ৬ ওয়ার্ড উত্তর ইয়ারংছড়ি প্লাবিত এলাকায়। ১নং আটারকছড়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রুপচান (মেম্বার) বলেন আমার ওয়ার্ডে কৃষি জমি ও অনেক ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির ধান ডুবে গিয়েছে যেটা সাধারণ কৃষকের জীবন জীবিকার জন্য এক বড় হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ আমার এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল,বেশ কয়েকদিন অধিক বৃষ্টির কারণে হ্রদের পানি বেড়ে যায় যা বর্তমানে অনেক ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে,এছাড়াও প্রাইমারি ও হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বেশি বিপাকে পড়েছে কারণ ঘর বাড়ি ডুবে যাওয়ায় তাদের বই নষ্ট হয়ে গিয়েছে,এবং সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার উপজেলার প্লাবিত অনেক জায়গায় মানুষ সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়েছে যা থেকে আমার এলাকা বঞ্চিত। ১নং আটারকছড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অজয় চাকমা (মিত্র) বলেন আমার আটারকছড়া ইউনিয়নে প্লাবিত হয়ে তিন শত একর অধিক কৃষি জমি বেশি ক্ষতি হয়েছে,যা জনসাধারণের জীবন পরিচালনায় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে,কারণ ওই এলাকার সবাই মাঠে খেটে এবং গবাদি পশু পালন করে জীবন পরিচালনা করেন,কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির পরে যখন এলাকা প্লাবিত হয় তখন আমরা উল্টাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে কিন্তু পরবর্তীতে এই বিদ্যালয়টিও পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে পানিতে তলিয়ে যায় পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আশ্রয় কেন্দ্র পরিবর্তন করে উল্টাছড়ি ফরেস্ট অফিসকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে মানুষকে আশ্রয় দেন ,এবং এরই মধ্যে আমরা প্লাবিত হওয়া ঘরের তালিকা করতেছি এবং তা উপজেলায় পাঠিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য আমরা আবেদন করব ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর এটা করব,এবং তারা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টা করে যাবো।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.