আচরণ বিধি লঙ্ঘনের স্পট পরিদর্শনে গেলেন: বিচারপতি শাহনেওয়াজ মনির

চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সংসদ নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী’কে তলব করেছে অত্র আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই প্রার্থী শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন। এজন্য প্রার্থীকে এই বিষয়ে সশরীরে বা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান (চট্টগ্রাম ১৫ আসন)বিচারপতি শাহনেওয়াজ মনির সাক্ষরিত একটি পত্রে এই তলব করা হয়।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ২টার মধ্যে আদালতে এই বিষয়ে প্রার্থীকে সশরীরে বা উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সংসদীয় আসন নং-২৯২, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির স্বাক্ষরিত আদেশে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী’ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপি’কে তলবসহ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

 

 

আদেশে বলা হয়েছে- প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদীয় আসন নং-২৯২, চট্টগ্রাম -১৫, এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এ নৌকা প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব আব্দুল মোতালেব এই মর্মে অভিযোগ আনয়ন করেছেন বৃহস্পতিবার (৩১ নভেম্বর) বিকালে দেওদিঘী বাজার নামক স্থানে আবু রেজা নদভী’র কর্মী আমিনুল ইসলাম গং আব্দুল মোতালেব এর সমর্থকদের গাড়িসমেত আটক করে দীর্ঘসময় তাদের পরিবহণকারী গাড়ি আটকে রাখে এবং কয়েকজনকে মারধর করে। এছাড়া, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক ৪টায় আব্দুল মোতালেব চট্টগ্রাম শহরাভিমুখে যাত্রাকালে সাতকানিয়া কেরাণীহাটে আবু রেজা নদভী’র লোকজন নানা অশালীন অঙ্গভঙ্গী ও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে শাসাতে থাকে। তারা আব্দুল মোতালেবের ছবিতে আগুন লাগিয়ে দৃষ্টিকটু ও আক্রমনাত্বক আচরণ করেছে। তারা শ্লোগানে বক্তৃতায় জনাব আব্দুল মোতালেবের ভবিষ্যতে ক্ষয় ক্ষতি করবে মর্মে আস্ফালন করেছে। তদুপরী, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আবু রেজা নদভী সাতকানিয়ায় একটি সমাবেশে নানা প্রতিশ্রুতি ও অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন।

উপরোক্ত অভিযোগ সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৩, ৬ (ক), ৭ (২) (৪), ১৭ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এমতাবস্থায় উপরোল্লোখিত বিষয়ে আবু রেজা নদভী’র কোন বক্তব্য থাকলে তা ০২ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ২টার মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ শাহনেওয়াজ মনির অস্থায়ী কার্যালয়ে সাতকানিয়া চৌকি আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে বা উপযুক্ত কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯১এ (৫) (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে সূত্র নিশ্চিত করেছেন,চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সংসদ নির্বাচনের অনুসন্ধান কমিটি চেয়ারম্যান নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষের বক্তব্যও শুনেছেন এবং অভিযোগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেব সিআইপির পক্ষের বক্তব্যও শুনেছেন উভয় পক্ষে হয়েছে শুনানী।

শুনানী শেষে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানও বিচারপতি শাহনেওয়াজ মনিরের নেতৃত্বে  পুলিশ প্রশাসনসহ উপজেলার কেরানীহাটে আচরণ বিধি লংঘনের ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান,দীর্ঘক্ষণ তদন্ত করে প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদারও স্থানীয়দের থেকে গণসাক্ষরসহ বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন বিচারপতি শাহনেওয়াজ মনিরের টীম।

সূত্র আরো নিশ্চিত করেছেন তারা গনসাক্ষরসহ এবং উভয় পক্ষের শুনানীর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.