আমার অফিস হবে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টির – হুইপ সামশুল

পটিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম -১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমার অফিস হবে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টির।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) কচুয়াই ইউনিয়নে নিজের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রতীক ঈগল মার্কার একটি অফিস উদ্বোধন করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে অলির হাট সংলগ্ন এলাকায় সামশুল হক চৌধুরীর ঈগল মার্কার গণসংযোগ করার সময় মহিলা আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা ঝাড়ু হাতে তাড়া করে গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সংক্রান্ত দুইটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

জানা যায়, বিগত ১৫ বছর যাবত সামশুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হয়ে পটিয়াকে শাসন করেছেন। গত ৫ বছর তিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় হুইপ হয়ে ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করেন। টানা ১৫ বছর তিনি ক্ষমতায় থেকে নিজের ও আত্মীয় সজনের আখের গোছালেও দলীয় নেতা-কর্মীদের কোন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন । দলে বিএনপি জামায়াত জাতীয় পার্টি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের প্রাধান্য দিয়েছেন। মামলা মোকদ্দমা দিয়ে কোণঠাসা করে রেখেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। তাই হাইকমান্ডের কাছে পটিয়ার তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবী ছিল মনোনয়ন পরিবর্তনের। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনা করে এবার সামশুল হক চৌধুরী কে মনোনয়ন দেননি। দক্ষিণ চট্টগ্রামে একমাত্র পটিয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করে মনোনয়ন দিয়েছেন ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কান্ডারী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী কে। আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ,কৃষক লীগ,মহিলা আওয়ামী লীগ,শ্রমিক লীগ সহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নৌকার পক্ষে একাট্টা হয়ে রাতদিন সমান তালে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

অপরদিকে, দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি। শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর নৌকা মার্কার বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচন করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে। দলের নেতা কর্মীরা তার বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন। সামশুল হক চৌধুরী যেদিকে যাচ্ছেন ক্ষুব্ধ দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়ছেন। ইতিমধ্যে তিনি কাশিয়াইশ, দক্ষিণ ভূর্ষি ও কচুয়াই ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গণসংযোগ করার সময় ভুক্তভোগী ও বঞ্চনার শিকার দলীয় নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন। অনেকটা পুলিশ পাহাড়ায় তিনি নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.