এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার ৫০ তম সেবা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

 

পটিয়া প্রতিনিধি :

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ ঘটিকার সময় আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার ৫০ তম ডিনার মিটিং ও সেবা কার্যক্রম খুশবু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। মোরশেদুরেজা সবুজের সঞ্চালনায় ও ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোঃ লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ডিনার মিটিং ও সেবা কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের ফাউন্ডার ও চাটার প্রেসিডেন্ট, আইপিপি এন্ড এক্সপেনশন ডিরেক্টর সৈয়দ মিয়া হাসান, জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ তালুকদার খোকন, পাবলিক স্পিকিং অ্যান্ড ডিবেটিং ডিরেক্টর মোঃ আরিফ খান, ক্লাব পরিচালক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী, মোঃ আব্দুল মোমেন ,রেখা দাস মেম্বার ,তসলিমা নূর মেম্বার ,পারভিন আক্তার মেম্বার ,মোঃ নাফিস করিম মোঃ নাঈম উদ্দিন আলমদার প্রমুখ।
এসমশ ক্লাবের ফাউন্ডার এন্ড চাটার প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মিয়া হাসান বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সামাজিক সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের পাশাপাশি এপেক্স ক্লাবের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেবার হাতকে সম্প্রসারণ করার লক্ষে গরিব-দুঃখীদের পাশে কাজ করছে এপেক্স ক্লাবগুলো যা দেশের অগ্রগতি ও উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। শান্তি, স্থিতিশীল ও সৌহার্দ্যময় পরিবেশ বজায় রেখে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে নিঃস্বার্থবান, মানবদরদী, দানশীল ও ত্যাগী মানুষ দরকার। এপেক্স ক্লাব এই ধরনের মানুষকে সংগঠিত করে পরের কল্যাণে নিবেদিত হবার মনোভাব জাগিয়ে তোলে। সমাজের বিত্তবানদেরকে যদি নি:স্ব, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আনা যায় তাহলে দেশে আর দুঃখী মানুষ থাকবে না। গুণগত সামাজিক পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। সুস্থ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হলে তারাই হবে পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি, সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মানে যারা অন্যদের পথ দেখাবে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ লিয়াকত আলী বলেন, দেশে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত পথশিশু। যারা খাদ্যের সন্ধানে বই ছেড়ে কর্মসংস্থানের খোঁজে পথে নামতে বাধ্য হয়। এসব ছিন্নমূল পথশিশুর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলে, সুবিধা বঞ্চিত পথশিশুর মধ্যে খাবার এবং শিক্ষা উপকরণ দেয়া হলে আনন্দের হাসি ফুটে উঠে তাদের মুখে। এমন ছিন্নমূল শিশু-কিশোরসহ পিছিয়ে পড়া মানুষদের মুখে হাসি ফুটাতে সফল হলে কিংবা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা অসুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারলে অন্যরকম এক মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়। ক্লাব পরিচালক রেখা দাস বলেন, আজকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণের মাধ্যমে ২০২৪ বর্ষের সেবা কার্যক্রম শুরু করেছি । পটিয়া ক্লাবের সেবা কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলবে। সভাই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন ও ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে একটি পিকনিক আয়োজনে সিদ্ধান্ত হয় এবং শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয়।

 

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.