চরতীতে ডিক্রি প্রাপ্ত জায়গার দখল নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সাতকানিয়া

সাতকানিয়া প্রতিনিধি 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি জায়গায় আদালতের ডিক্রি পাওয়ার পরেও দখল বেদখলের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

উপজেলার ১নং চরতী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দুরদুরী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত নুর হোসেনের ছেলে মো:হারুন উদদীন(৩৫) তার পৈতৃক এবং ডিক্রি প্রাপ্ত জায়গায় অযাচিত হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই ইউনিয়নের একই ওয়ার্ডের মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে ফরিদুল আলম (৪০) আব্দুল মালেক,ইউনুছের স্ত্রী শেকুন তাজ বেগমসহ আরো বেশ কয়েকজন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে মো:হারুন বলেন,আমি  বিরোধীয় সম্পত্তির বিষয়ে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে ২০২/২০১১ দায়ের করিলে আদালত কাগজপত্র ও সাক্ষী শুনানি করে আমার পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন,এবং কোন প্রতিপক্ষ বা বিবাদী আমার প্রাপ্ত ওই ডিক্রির বিরুদ্ধে আপীল পর্যন্ত করেনি।

অথচ উপরোক্ত ব্যক্তিগন  অপর ৪৮/২০০১ দায়ের করলে মাননীয় আদালত  কাগজপত্রের অভাবে তা খারিজ করে দেন।

তবুও গত ৫ই মে উপরোক্ত ব্যক্তিগন কিছু বহিরাগত লোক এনে আমার বসত বাড়ির সামনে আমার দখলীকৃত জায়গায় জোরপূর্বক গাছ রোপণ করেন,আমরা বাঁধা দিলে আমাকে আর আমার ভাইকে মারার জন্য উদ্যোত হলে আমরা পালিয়ে  প্রাণে বেঁচে যায়।

পরে তাদের বিরুদ্ধে আমি একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

অপরদিকে আব্দুল মালেক বলেন,আমরা তাদের ওয়ারিশ আমরা ওয়ারিশমূলে সম্পত্তি পাচ্ছি, আমাদের দায়ের করা মামলা খারিজ হলেও পরে আবার একই নাম্বারে পুনর্বহাল করেছেন,এদিকে মো:আবু সৈয়দ নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম সংবাদের ভিডিও বক্তব্যে সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দায়েরকারী মো:হারুনের বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করলে, ওই বক্তব্যদাতা ব্যক্তিকে সরাসরি চিনেননা বলে দাবী করেন মো: হারুন।

অপরদিকে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের দেয়া একটি নিষেধাজ্ঞা আছে বলেও জানান  আবু সৈয়দ নামে ওই ব্যক্তি।

এদিকে সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান,বাদী নিজেই যদি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়ে ওই জায়গায় গাছ রোপণ করেন তাহলে তিনি নিজেই ওই আদেশ ভঙ্গ করেছেন।

তিনি আরো বলেন মামলা খারিজ হলেও যেহেতু মাননীয় আদালত আবারো একই মামলা নম্বর বহাল রেখেছেন তাহলে আগের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে।

এদিকে সাতকানিয়া থানার এএসআই মো:জহির বলেন, উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছে, এবং একই সাথে আদালতের আদেশ মতো চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে মো:হারুন প্রতিবেদককে বলেন,আমি আদালতের আদেশের বাইরে কিছু বুঝিনা,আমি ওই জায়গায় ওই দাগের উপর ডিক্রি পেয়েছি।

তারা আদালতের আদেশে ক্ষুদ্ধ হলে আপীল করতে পারেন, তারা তা না করে আমার ১০০বছরের মৌরশী জায়গা জবর দখল করতে পারেননা।

এদিকে প্রতিবেদক সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে  স্থানীয় দুই  বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন- জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে হারুনদের দখলে ছিলো অপরিচিত কিছু লোক এসে তাদের ধাওয়া করে এই গাছ রোপণ করেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.