সার্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালায় প্রজ্ঞাপন হতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের অন্তর্ভুক্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে সিভাসু অফিসার সমতির আয়োজনে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মে) সকালে সিভাসু অফিসার সমতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মো. ইয়াছিন চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার মো. মির্জা ফারুক ইমাম, লাইব্রেরিয়া মো. হাবিবুর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মো. আবুল কালাম এবং প্রধান প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী।
এ ছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল কাশেম, জনসংযোগ দপ্তরের সিনিয়র উপপরিচালক খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মোহাম্মদ আরিফ এবং সিভাসু’র বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্বাগত বক্তব্যে অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেনে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা। সেই প্রতিশ্রতি পূরণের লক্ষ্যে ১৩ আগষ্ট ২০২৩ সালে ৪টি স্কিম চালুর প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৭ আগষ্ট ২০২৩ সালে প্রয়াস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা নামে ৪টি সার্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্ধোধন করেন। কিছুদিন পূর্বে অর্থাৎ ১৩ মার্চ ২০২৪ সালে অর্থমন্ত্রণলয় কর্তৃক “প্রত্যয়” স্কিমের জিও জারি করেন। এই স্কিমে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা মনে করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর সুন্দর পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্থ করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক ও সুন্দর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হিসাবে এই “প্রত্যয়” স্কিম চালু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সবিনয়ে অনুরোধ করছি। ফলে আমাদের পারিবারিক আর্থিক সুরক্ষা নষ্ট করেছে। আমরা মনে করি, স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের ভবিষ্যত আর্থিক সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের উপর আরোপিত এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের প্রত্যাহার চাই। এই “প্রত্যয়” স্কিম বাতিল করা হউক।
মির্জা ফারুক ইমাম বলেন, একটি সেটেল ইস্যুকে আনসেটেল ইস্যুকরার জন্যই মনে হয় এই কাজ করেছে। এটি একটি কুচক্রি মহেলের কুচক্রি কাজ। আমার মনে হয় সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই কুচক্রি মহল এই কাজ করেছে। সরকারি/স্বায়াত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয় সে প্রক্রিয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি হয় না। এই স্কিম চালু হলে প্রতিষ্ঠান মেধাবী ও অভিজ্ঞ লোক পাবে না জাতি মেধাশূণ্য হবে। আমরা চাই প্রত্যয় স্কিম বাতিল করা হোক।
লাইব্রেরিয়ান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সুবিধা সব সময় বাড়ে কমে না। প্রত্যয় স্কিম এত ভাল হলে সচিবদেরকে এই স্কিমে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি কেন? পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) আবুল কালাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্কিমের লক্ষ্যই ছিল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু এই স্কিমে তা হচ্ছে না বিধায় বাতিল করতে হবে। প্রধান প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমরা বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা বহাল থাকুক তাই চাই। আমরা প্রত্যয় স্কিম চাই না।
সভাপতি মো. ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, শুধুমাত্র পেনশনের জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকুরি ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি নিয়েছি। এই স্কিম চালু হলে পরিবারের নিকট আমাদের লজ্জা পেতে হবে। সুতরাং এই স্কিম বাতিলের বিকল্প নেই।