চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করে ব্রাশ ফায়ার করে ২ জনকে হত্যা করা হয় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে। এমনভাবে গুলি করা হয়েছে পুরো কারটি ঝাঝরা হয়ে যায়। গুলির ধরণ দেখে, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করছেন থানা থেকে লুট হওয়া স্বয়ংক্রিয় চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করা হতে পারে।
রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোডের গোলজার স্কুলের সামনে ওই প্রাইভেটকারটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। প্রাইভেটকারে থাকা ৬ জনের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। বাকিরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেঁচে ফেরা মো. হৃদয় জানান, গাড়িতে তারা ছয়জন ছিলেন—মো. সরোয়ার, মানিক, আব্দুল্লাহ, রবিন ও মো. ইকবাল। রাতের নির্জন সড়কে একটি মোটরসাইকেল তাদের গাড়িটিকে অনুসরণ করছিল। যখন প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোডের গোলজার স্কুলের সামনে পৌঁছায়, তখন মোটরসাইকেল থেকে তিনজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি নেমে আসে এবং হঠাৎ ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল্লাহ ও মানিক নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর এক যাত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রাইভেটকারটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। গাড়িটির সামনে পেছনে শতাধিক গুলির চিহৃ পাওয়া গেছে। এমনভাবে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে, গাড়ি ভেদ করে গুলি ভেতরেও প্রবেশ করেছে। গাড়িটির সামনের গ্লাস গুলিতে ঝাঝরা হয়ে গেছে। সেইম অবস্থা পেছনেও। গুলির আঘাতে গর্ত হয়েছে এক ইঞ্চি থেকে আধা ইঞ্চি পর্যন্ত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, চলন্ত অবস্থায় গুলি ও গুলির ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, স্বয়ংক্রিয় চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়েছে। শর্টগান দিয়ে এভাবে গুলি করা যায় না। শর্টগান দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে দাঁড়িয়ে গুলি করতে হয়। এসব অস্ত্র মাস্ট স্বয়ংক্রিয় রাইফেল।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া চাইনিজ রাইফেল হতে পারে।
আমার দেশ/