আগে পাকিস্তানের ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল মনোনয়ন এখন“বিব্রতকর”,

আজাদেহ মোশিরি, পাকিস্তান প্রতিনিধি বিবিসি বাংলা 

পাকিস্তান এখন এক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে। প্রশ্ন একটাই, নিজেদের প্রতিবেশী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলার সমর্থন না করেই কিভাবে তারা হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে পারে আবার প্রতিবেশী দেশেরও পাশে থাকতে পারে।

শনিবার, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “সত্যিকারের শান্তির দূত” বলে প্রশংসা করে এবং তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়।

কিন্তু মাত্র একদিন পরই ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের পক্ষে সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়। একে পাকিস্তান “বর্বরতা” বলে আখ্যা দিয়েছে।

ট্রাম্পের “অসাধারণ রাষ্ট্রনায়কত্বের” প্রশংসা করার পর এখন পাকিস্তান সেই হামলার কঠোর নিন্দা করছে এবং বলছে এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।

এই হঠাৎ পরিবর্তন অনেকে নজরে এনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানি রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষ “বিব্রতকর” এবং “লজ্জাজনক” শব্দ ব্যবহার করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধি বলেছেন, “তেল মারা কখনও নীতিমালা হতে পারে না।”

সেনেটের প্রতিরক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মোশাহিদ হুসাইন প্রথমে নোবেল মনোনয়নকে সমর্থন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “ট্রাম্পের অহংকারে ঘি ঢাললেও সমস্যা নেই, কারণ ইউরোপিয়রাও তাই করেছে।”

কিন্তু একদিন পর তিনিই বলেছেন, তিনি সরকারের নিন্দা সমর্থন করেন এবং পাকিস্তানকে উচিত সেই মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা, প্রত্যাহার ও বাতিল করা। তিনি ট্রাম্পকে “যুদ্ধবাজ” বলে আখ্যা দেন।

এই “ভারসাম্য রক্ষা” এখন ভয়াবহ কঠিন হয়ে পড়েছে

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.