ধর্ষনের অভিযোগকে পাত্তাই দিলনা ইউপি সদস্য,বললেন মামুলি বিষয়!

 

বাঁশখালী প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে ছদ্মনাম নাবিলা (১৯) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে । ছাত্রীর বাবা শনিবার (১০ জুলাই) সন্ধায় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয় উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রহিমের ছেলে মো.রাসেল (২২)। অন্য তিন আসামিরা হলেন অভিযুক্ত রাসেলের মা রোকেয়া বেগম ও তার বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক (২৫)। ওই ছাত্রীর বাড়িও একই জায়গায়। সে চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো: রাসেল স্কুল আসা-যাওয়ার পথে এবং ভিকটিম ছাত্রীর বাড়ী তার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় যে কোন কাজ কর্মে বাড়ী থেকে বের হলে প্রায় সময় ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে ঐ ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বাড়ীর পুকুর পাড়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ বিগত শনিবার (২৬ জুন) ফুসলিয়ে ঐ ছাত্রীকে ঘর থেকে ডেকে এনে তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে। এ সময় ঘটনাটি ছাত্রীটির ভাই দেখে ফেললে অভিযুক্ত রাসেল পালিয়ে যায়। পরে এটি জানাজানি হলে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সালিশের আয়োজন করেন। ঘটনার ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার এ গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্ত যুবক রাসেল প্রেমের কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে। তাই সালিশে উপস্থিত এলাকার সমাজপতি মুরব্বীরা বিষয়টি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার জন্য ছাত্রীর অভিভাবককে পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি রাসেলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। রাসেলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, মেয়েটি কে তার মা-বাবা আমার শিক্ষিত ছেলের পিছনে লাগিয়ে দিয়েছে। মেয়েটিকে আমার বাড়িতে ডুকিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্র করতেছে। এটা একটি মিথ্যাকথা। আমাদের মেম্বার ২ বার বৈঠক করেছে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ফাঁসানো বলে তার মা জানান।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আহমদ ছফা বলেন, রাসেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে আমরা স্থানীয় গন্যমান্য সালিশকারদের নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে বসে এই বিষয়টি মীমাংসার চেস্টা করেছিলাম । পরে জানতে পারলাম এটি হালকা ছোট্ট একটি ঘটনা। তেমন কোন বড় ধরনের কোনো সমস্যা না। মেয়ের পক্ষে যা বলেছে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ইউএনও কে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ইউএনও যা মন চায় তা করুক না,তাতে আমার কি।

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.