চট্টগ্রাম সংবাদ: সদা হাস্যোজ্জ্বল মানবতার সেবক তাপস বড়ুয়া। চট্টগ্রামে অসহায় রোগীদের জরুরি প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা করতে নিঃস্বার্থভাবে ছুটে গেছেন সবসময়। অসহায়ের সহায় হয়ে ছুটে চলা মানুষটি আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের লাইফ সাপোর্টে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ তাপস বড়ুয়া।
টেরীবাজার ব্লাড ব্যাংকের এডমিন জুনাইদ মাহামুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত শনিবার (১ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মিরসরাই থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে ফৌজদারহাট এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় হুইসেল ব্লাডলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক তাপস বড়ুয়া (৩২)। দুর্ঘটনায় মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান এবং মেরুদণ্ডসহ পাঁজরের হাড় ভেঙে যায় বলে জানা গেছে।
এরপর চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানকার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের লাইফ সাপোর্টেই আজ তার মৃত্যু হয়।
তাপস বড়ুয়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পুরানগড় ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের আদিত্য বড়ুয়া ও টকি বড়ুয়ার একমাত্র ছেলে। এই দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনি রত্নপ্রিয় প্রভাতী ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র ও শীলঘাটা তরুণ সংঘের উপদেষ্টা।
চিকিৎসক জানান, দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগার কারণে তাপস বড়ুয়ার মাথার খুলি ভেঙে গেছে। ছিদ্র হয়ে গেছে কপাল, ভেঙে গেছে মেরুদণ্ড ও বুকের বিউটিবোন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক তাপস বড়ুয়ার দুর্ঘটনার পর থেকে গত তার সুস্থতা কামনায় এবং নানা স্মৃতিচারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একের পর একে পোস্ট করেছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এছাড়া হাসপাতালে ছুটে আসেন বিভিন্ন বন্ধুবান্ধব, নানা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
এদিকে তাপস বড়ুয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে চট্টগ্রামের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টেরীবাজার ব্লাড ব্যাংক।