পুলিশের সামনেই মুক্তিযোদ্ধার বাগানের গাছ লুট, ইনচার্জ বললেন— জনবল কম ছিল

বাঁশখালীতে চলছে হরিলুট চুপ প্রশাসন -

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের উপস্থিতিতেই একটি বাগানের গাছ কেটে লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম পূর্ব বৈলগাঁও এলাকায় এই বৃক্ষ নিধন ও লুটের ঘটনা ঘটে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মালিকানাধীন বাগান থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এসব গাছ কেটে লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাগানে ঢুকে গাছ কাটতে শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও গাছ কাটা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বাগানের মালিকের ভাতিজা বোরহান উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ও তার পরিবার বর্তমানে এলাকায় থাকেন না। এ সুযোগে মিজান ও কামালের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট বারবার হুমকি দিয়ে গাছ কাটার চেষ্টা করে আসছিল। আজ সকালে তারা দলবল নিয়ে বাগানের শতাধিক গাছ কেটে নিয়ে যায়। আমরা পুলিশকে খবর দিলেও কোনো সহায়তা পাইনি। বরং পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা ট্রাকে গাছগুলো তুলে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এই বাগান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে এই বাগান দখল ও গাছ কেটে নিতে কামাল ও মিজানের নেতৃত্বে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। কামাল ও মিজান বিএনপি সমর্থক বলে জানা গেছে। গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি দখল ও গাছ কাটার মতো কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে এরা লোকজনকে মামলার ভয় দেখিয়ে এবং হুমকি দিয়ে দখল ও লুটপাট চালাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে মিজান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘জায়গাটির মালিক কৃষক কামাল ও কারুন। জায়গার মালিক গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি পক্ষ বাঁধা দিয়েছে। জায়গার মালিক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান নয়।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কামালের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

রামদাস মুন্সিরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তপন কুমার বাগচি জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে পুলিশের তুলনায় লোকজন বেশি হওয়ায় গাছগুলো আটকানো যায়নি। বর্তমানে সেখানে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.