মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা জবরদখলের অপচেষ্টা ও বাইক চুরির অভিযোগ 

আমিন ফার্নিচারের মালিকের ২টি বাইক চুরি-

নিজস্ব প্রতিবেদক 
মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা জবরদখল ও মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো: আমিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার ছদাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রোয়াজির পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিনের নিজ বাড়ি থেকে (৩০ জুন) রাত আনুমানিক ৩ টায় চোরের দল ২টি মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়।
তবে এই চুরির সাথে স্থানীয় ড্রাইভার জসিম উদদীন নান্নুর যোগসাজশ থাকতে পারেন বলে গণমাধ্যমকে কে নিশ্চিত করেছেন  শিল্পপতি আমিন ফার্নিচারের মালিক আলহাজ্ব মো: নুরুল আমিন।
তিনি বলেন,বেশ কিছুদিন ধরে নান্নু ড্রাইভার আমার এবং আমার মরহুম মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমদের পরিবারের  ক্ষতি করার জন্য পিছু লেগে আছে।
আমার ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর আহমদের স্ত্রী তাহেরা বেগম তাদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য ২০১১সাল থেকে এই নান্নু ড্রাইভারের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় অন্তত ১২টি অভিযোগ, ফৌজদারী ১৪৫ধারার মামলা এবং দেওয়ানী আদালতেও মামলা দায়ের করে আসছিল।
আমি আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্পত্তি রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালালে এই নান্নু ড্রাইভারকে আমাকে মেরে ফেলার প্রক্রিয়া হিসেবে আমার বাড়িতে চোরের দল ঢুকিয়ে দেয়,পরে প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে আমার আর আমার ছেলের ২টি বাইক চুরি করে নিয়ে যায় তার নেতৃত্বাধীন চোরের দল।
আমি এই বিষয়ে ফৌজদারি মামলা করার অংশ হিসেবে সাতকানিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
অপরদিকে এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন ড্রাইভার জসিম উদদীন নান্নু।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে আমিনের সাথে কখনো সামনাসামনি মনোমালিন্য পর্যন্ত হয়নি,এটা মামলার কারণে ষড়যন্ত্র করছে বলে আমার মনে হয়।
তবে তাদের সাথে আমার জায়গা জমি নিয়ে মামলা বিচারাধীন সেটা সত্য,আর আমার জীবনে এমন কোন কলংকের দাগ নেই,আপনি খোঁজ নিয়ে দেখেন।
এদিকে সাতকানিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে এসআই মো: মামুন বলেন- হ্যাঁ ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।
বাইক এবং বাইক চোরের সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
বাইক চুরির অভিযোগে ছদাহা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী বলেন, ড্রাইভার জসিম উদদীন নান্নু খুবই ভালো মানুষ।
তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলা বিষয়টা ভিত্তিহীন, অপরদিকে বাইক চুরিটা যে ব্যক্তির হয়েছে সেই ব্যবসায়ী আমিনও আমার আত্মীয়।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসিন্দা প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন- যা কিছু রটে তা কিছু না কিছু  বটে,শিল্পপতি আমিনের এতবড় রাজপ্রাসাদে ঢুকে চুরি করার মত সাহস ছদাহার কারো নেই,মনে হচ্ছে তাদের সাথে যাদের জমিজমা বিরোধ চলছে তারা কেউ  কোন কু- উদ্দেশ্যে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
চুরির ঘটনাটা সরাসরি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হলেও চোরের চেহারা ঢাকা থাকায় এখনো চোর শনাক্ত হতে পারেনি বলে সূত্র নিশ্চিত করেন, তবে চোরের দেহের আকার লম্বা চওড়া এবং হাল্কা পাতলা গঠনের বলে ক্যামেরা সূত্র নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.