পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোঃ খায়রুল ইসলাম মুন্না (২৭) নামের এক যুবককে অপহরণ, নির্যাতন, মোবাইল ও টাকা ছিনতাই এবং পরে তাকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) রাতে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী খায়রুল ইসলাম। মামলায় মোকাম্মেল হক তালুকদাসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে আশিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার আকবর (কাশবন) নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে গেলে মোকাম্মেল হক তালুকদার এর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে জোরপূর্বক একটি সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে স্থানীয় কেরিজ্জা ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তার ব্যবহৃত অপো মডেলের মোবাইল (মূল্য প্রায় ২১ হাজার টাকা) ও নগদ ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর তাকে “ছিনতাইকারী” হিসেবে জোর করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয় এবং সেটি ভিডিও করে রাখে অভিযুক্তরা।
পরিবারের সদস্যরা থানায় খবর দিলে পটিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামি মোকাম্মেল হক তালুকদার উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে আশিয়া ইউনিয়নের বিএনপি নেতা। তার বিরুদ্ধে এর আগেও নানাবিধ অপরাধে মোট ১৯টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।