এওচিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত রিকশা চালক নুরুল কবিরের পরিবারের পাশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ

কবর জেয়ারতের পাশাপাশি আর্থিক অনুদানও দিয়েছেন-

 

সাতকানিয়া উপজেলা প্রতিনিধি 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার এওচিয়ায় দিনমজুর নিহত নুরুল কবিরের কবর জেয়ারত ও তার পরিবারের খোঁজ নিতে ছুটে গেলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও সাতকানিয়া লোহাগাড়ার উপজেলা বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (১২ই আগস্ট)সন্ধ্যায় এওচিয়ার ৪নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুলের সুয়ার বাপের বাড়িতে নিহতের কবর জেয়ারত ও এতিম বাচ্চাদের দেখতে ছুটে যান বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের এই টীম।

একজন দিনমজুর ও রিকশা চালকের কবর জেয়ারত ও নিহত রিকশা চালকের ছেলেমেয়েদের দেখতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার দায়িত্বশীল থেকে শুরু করে উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখে শোকে বিহ্বল পরিবারের চোখেমুখে প্রকাশ্যে আনন্দ অশ্রু দেখা যায়।

৫শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে নিহত দিনমজুর নুরুল কবিরের বাড়িতে যাওয়ায় ছড়ারকুলসহ পুরো এওচিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা এবং শোকাহত পরিবার দেখতে পাচ্ছে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন।

নিহত নুরুল কবিরের মা মমতাজ বেগম বলেছেন-একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাব দেখিয়ে আমার রিকশা চালক ছেলেকে টোকাই উল্লেখ করে নির্মম ভাবে হত্যা করে আব্দুল মজিদ ও আব্দুস সোবান এবং তার ছেলে সাবেক শিবির নেতা শহিদুল ইসলাম ও নেয়াজুর রহমান, এবং চূড়ামনির দেলোয়ারসহ আরো বেশ কয়েকজন।
তখন থেকে আমি চিন্তা করেছি এই পৃথিবী আমাদের নয় কিন্তু আমার বাড়িতে আজকে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দেখে মনে হচ্ছে আমাদেরও বেঁচে থাকার জন্য আমাদের স্বপ্ন দেখার জন্য এখনো মানুষ আছে।
আমি মহান আল্লাহর কাছে আমার ছেলের জন্য দোয়ার পাশাপাশি এই গরীবের ভাঙা ঘরে যখন এতবড় বড় লোকজন এসেছেন মনে হচ্ছে আমার ছেলের বিচার আমি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছি সামনেও পাব ইনশাআল্লাহ।

এই কথা গুলো বলতে বলতে প্রতিবেদকের সাথে নিহত নুরুল কবিরের মা মমতাজ বেগম শোকে আর আবেগে কেঁদে ফেলেন।
মমতাজ বেগম আরো বলেন,আজ থেকে আমাদের পরিবারের দায়িত্ব আর আমার নিহত ছেলের বিচার সবকিছুই বিএনপির নেতাকর্মীদের কাঁধে তুলে নেয়ায় আমরা মরেও নতুন করে বাঁচতে চাই,যে ছেলে রিক্সা চালক হওয়ায় টোকাই বলে প্রকাশ্য কিরিচ দিয়ে হত্যা করেছে দিনের আলোতে, সেই টোকাইকে মানুষ মূল্যায়ন করে এসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার ঘরে,এর চাইতে বেশী কিছু পাওয়ার নেই।

কবর জেয়ারতের পাশাপাশি আর্থিক অনুদানও দিয়েছেন বলেও জানান।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান  ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল আলম এবং সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সেলিম চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক এওচিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ আহমদ।

সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহমদুল হক সিকদার, সাতকানিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার আবু তাহের বিএসসি, সাতকানিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট জসিম উদদীন, পৌরসভা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ রফিক, পৌরসভা বিএনপি’র সাবেক সদস্য আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুস, পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক এস এম জাহেদ, উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদ হারুন, উপজেলা যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন রুবেল, মিজানুর রহমান মিজান, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.