জামায়াত আর আওয়ামী লীগ একই রকম বলা সেই অলির ঠাঁই মিলেছে জামায়াতেই
মাত্র ২মাস আগেই চাঁদপুরে এসব কথা বলেন তিনি
জামায়াতে ইসলাম আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই : চাঁদপুরের মতলবে চলতি বছরের অক্টোবরে এসব কথা বলেছিলেন ড. অলি আহমদ।
কিন্তু কাকতালীয় ভাবে ২মাস না পেরুতেই তিনি আবার আজ ২৮শে ডিসেম্বর (রবিবার) নিজের দেয়া বক্তব্যের স্ববিরোধীতা করে জোট বাঁধলেন জামায়াতের সাথেই।
তখন ওই জনসভায় যা বলেছিলেন তিনি তা চট্টগ্রাম সংবাদের পাঠকদের জন্য হুবহু তোলে ধরা হলো-
লিভারেল ডেমোক্রেটি পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ড. অলি আহমদ বলেছেন, একজন তরুন ক্যাপ্টেন হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে বিদ্রোহ করেছিলাম, স্বাধীনতা ঘোষণা জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। মন্ত্রী ও এমপি ছিলাম। এখন ঘোষণা দিয়েছি আর এমপি ইলেকশন করবো না। গতকাল চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার নন্দলালপুর ছামাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয মাঠে লিভারেল ডেমোক্রেটি পার্টির (এলডিপি) কর্মী সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চোর ডাকাতের হাত থেকে বাংলাদেশ কে মুক্ত করতে হবে। লুটেরাজদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ন্যায় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এগুলো যদি করতে চান আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন। আপনাদের ভোটটা বহু মূল্যবান। চোর ডাকাত দেশ চালাবে, লুটেরাজ দেশ চালাবে, না হিন্দুরা দেশ চালাবে সে সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।
কর্নেল অলি আহমদ বলেন, দেশে জামায়াতে ইসলাম আর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জামায়াতে ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ও আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দেশে যারা ভারতের দালালি করছে এবং ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, তাদের বিচার একদিন এই বাংলার মাটিতেই হবে, ইনশাআল্লাহ। এখন আর মার্কা দেখে ভোট নয়, এখন ভোট দিতে হবে যোগ্যতা দেখে।
মতলব উত্তর উপজেলা এলডিপির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহিবউল্ল্যা খোকনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আওরঙ্গজেব বেলাল, চাঁদপুর-২ আসনের বিএনপি জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মহিলা এলডিপির সভাপতি অধ্যাপক কারিমা খাতুন, কেন্দ্রীয় এলডিপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মিলু, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের এসএল আল মামুন, কেন্দ্রীয় গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের কাজী কামরুল ইসলাম এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন এলডিপির সভাপতি ফয়েজ সরকার।