ঐক্যের ভিত্তিতে অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে : আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, হাজার বছর ধরে সর্বধর্মীয় ঐক্যের শক্তিতে বীর বাঙালি নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার পারস্পরিক সহাবস্থান এই ভূখণ্ডের চিরকালীন ঐতিহ্য। সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার ওপর বেদীমূলে দাঁড়িয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানা অপকর্ম চালিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ-বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এখনো সেই অপশক্তি নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সম্মিলিত শক্তি নিয়ে, ঐক্যের ভিত্তিতে এই অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে।

সোমবার (৩০ আগস্ট) নগরের জেএম সেন হলে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত উৎসবের প্রথম পর্বের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বক্তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেন, ধর্মকে আমরা ধারণ করবো আমাদের আত্মবুদ্ধি ও আত্মবিকাশের জন্য কিন্তু কখনো ধর্মান্ধতাকে নয়। ধর্মান্ধতা মানুষকে অজ্ঞতা ও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। ধর্ম হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করার জন্য নয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শিল্পপতি সুকুমার চৌধুরীর ভার্চুয়াল সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ শক্তিনাথানন্দ মহারাজ ও শ্রীমৎ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ।

উদ্বোধক ছিলেন জন্মাষ্টমী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুজিত কুমার বিশ্বাস।

সুমন দেবনাথের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার ও বিমল কান্তি দে, নগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য।

উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী, আনন্দমোহন রক্ষিত, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম, সাধন ধর, মাইকেল দে, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, চন্দন দাশ, লায়ন তপন কান্তি দাশ, অধ্যাপক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, রত্নাকর দাশ টুনু, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, অমিত চৌধুরী, তাপস কুমার নন্দী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, ডা. বিধান মিত্র, সাধন চৌধুরী, রবিশংকর আচার্য্য, বিপ্লব কুমার চৌধুরী, রতন আচার্য্য, আশীষ চৌধুরী, লায়ন সন্তোষ নন্দী, লিটন কান্তি দত্ত, শিবু প্রসাদ দত্ত, প্রদীপ শীল, মিথুন মল্লিক, সঞ্জয় ভৌমিক কংকন, এস প্রকাশ পাল, সজল দত্ত, অ্যাডভোকেট টিপু শীল জয়দেব, অজিত কুমার দাশ, সলিল কান্তি গুহ, ডা. বিজন কান্তি নাথ, ঊষা আচার্য্য, লায়ন মীননাথ ধর, পরিমল দত্ত, সুকান্ত মহাজন টুটুল, বাপ্পী নন্দী, নিউটন কান্তি দে, প্রিয়তোষ ঘোষ রতন, বিশ্বজিৎ রায়, রিপন রায়, সবুজ দাশ, প্রকৌশলী অমিত ধর, প্রকৌশলী সৈকত দাশ, অমিত ঘোষ, সৌরেন দত্ত প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক মঠ-মন্দির ও অনাথ আশ্রমের প্রতিনিধিদের এক বস্তা করে চাল, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দেন অতিথিরা।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.