দক্ষিণ চট্টগ্রামকে আলাদা জেলা বাস্তবায়নের পক্ষে আওয়ামী লীগ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে আলাদা জেলা বাস্তবায়নের পক্ষে একমত হয়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা। দ্রুত জেলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি তুলবেন বলে সূত্র জানায়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দক্ষিণ চট্টগ্রামকে পৃথক জেলা করার প্রস্তাব পাঠানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে।

দেশে চারটি উপজেলা নিয়ে জেলা গঠিত হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভা থাকা সত্ত্বেও এখনো জেলা করা হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাবেক মহকুমা সদর পটিয়াকে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। চট্টগ্রাম শহরে হেডকোয়ার্টার রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রাম একটি আলাদা জেলা করা এখন সময়ের দাবি, যাতে করে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দক্ষিণ চট্টগ্রাম নামে একটি আলাদা জেলা পায়।

স্থানীয় ইউপি নির্বাচনের বৈঠকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে জেলা বাস্তবায়নের পক্ষে জোরালো দাবি ওঠে। এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবুল কালাম চৌধুরী, এস এম আবুল কালাম, সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, চট্টগ্রাম  প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, কৃষি সম্পাদক এড. আবদুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, বন বিষয়ক সম্পাদক এড. মুজিবুল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, ধর্ম সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. নুরুল আলম, এম এ মোতালেব, আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, ওমর ফারুক চৌধুরী, নাছির আহমদ, দেবব্রত দাশ, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, ছিদ্দিক আহমদ বিকম, আয়ুব আলী, বিজন চক্রবর্ত্তী, মাহবুবুর রহমান শিবলী, এ. কে আজাদ, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, কর্নফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর প্রমুখ। এতে বিভিন্ন শেণি পেশার মানুষ জনই উপস্থিত ছিলেন।

পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বৈঠকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে জেলা করার বিয়ষটি সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়েছে। এখন পটিয়াবাসীর দীর্ঘদিন দাবি ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, সাবেক মহকুমা সদর পটিয়াকে বঙ্গবন্ধু জেলা ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক হিসেবে জাকির হোসেন নামে একজনকে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে মহকুমা সদরের কার্যক্রম চালু থাকলে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসার পর দলীয় বিরোধের কারণে পটিয়াকে উপজেলা ঘোষণা করে চলে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ১৯৯০ সালে পটিয়া সদরকে পৌরসভা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে জেলার কার্যক্রম থমকে যায়।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.