সাতকানিয়ায় রান্নাঘরের লাকড়ির আগুনে পোঁড়ে গেলো ৪টি বসতবাড়ি। আজ ২৭শে ডিসেম্বর (সোমবার)দুপুরে সাতকানিয়ার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সামিয়াপাড়া এলাকায় রান্না ঘরের লাকড়ি থেকেই এই আগুনের সুত্রাপাত বলে জানান সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। জানাযায়-সাতকানিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সামিয়ার পাড়ার আবুল বশরের রান্না ঘরের লাকড়ি চুলা থেকেই এই আগুনের সুত্রাপাত। আর দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী আনোয়ার হোসেন এবং মৃত আব্দুল গফুরও শামসুল হকের বাড়িতে। ফলে ৪টি বসত বাড়ি পুড়ে একদম ছারখার হয়ে গেলেও আগুনের কারণে কোন আহত নিহত হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে সাতকানিয়া ফায়ার ষ্টেশনের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার হুমায়ুন কার্নায়েন বলেন-লাকড়ি চুলা থেকে এই আগুনের সুত্রাপাত ৪টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও ৩টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ন পুড়েঁ যায়। এতে প্রায় ৪/৫লাখ টাকার মত ক্ষতিসাধন হয় বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান-এই এলাকায় ঢুকারমত পর্যাপ্ত রাস্তা না থাকার কারণে আমাদের ঢুকতে দেরী হলো সেই কারণেও মূলত ঘর বেশী পুড়লো। এদিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়া স্থানীয় কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানান-ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাসহ করণীয় সবকিছুই করব। কিছুক্ষন আগে আমি মেয়র মহোদয়কে ফোন করে বিষয়টা জানিয়েছি। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানরত। তিনি আরো বলেন-ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আসার সময় ডলুব্রীজের উপর ভীড় করা সিএনজির কারণে দেরী করে ফেলছিলো তাই ঘরগুলি একদম পুড়ে ছাইঁ হয়ে যায়। শুধু ডলুব্রীজের উপর সিএনজির স্তুপ তাই নয়-সামিয়ার পাড়া ঢুকতে ২০/২৫টি রাস্তায় স্পীড ব্রেকার বসানো হয়েছে। ফলে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের যথেষ্ঠ দেরী হলো আর সেই দেরীর মাশুল গুনতে হয়েছে ৪টি ঘর পুড়েঁ একদম ছাই হয়ে। অতএব আমি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার স্বার্থে ডলুব্রীজের উপর অঘোষিত সিএনজি ষ্টেশন এবং সামিয়ার পাড়া ঢুকতে কিছুক্ষন পর পর দেয়া স্পীড ব্রেকার গুলি অপসারণ চাই।
চট্টগ্রাম সংবাদ/ আই এইচ।