চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বিএনপির মহিলা দলের দুই নেত্রীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির দুই নেত্রী হলেন— চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাইম চৌধুরী রিকু ও বাঁশখালী পৌরসভা মহিলা দলের আহ্বায়ক শারাবান তহুরা। এখন পর্যন্ত পুলিশের হাতে গেপ্তার হওয়া বাকি ৪ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা সকলেই স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
শনিবার (২৭ আগাস্ট) সকালে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এরআগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন ধারায় এসব মামলা করে পুলিশ। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬৬ জন নেতাকে এজহার নামীয় সহ ৩০০-৪০০ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, জাফরুল ইসলাম সাহেবকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম রাস্তায় না উঠতে। কারণ গুনাগুরি হাসপাতালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। উনি আমাদের বলেছেন সেদিকে যাবেন না। পরে হঠাৎ হাজার হাজার মানুষ নিয়ে তিনি গুনাগুরির দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিছিল নিয়ে বের হন। আমরা বাধা দিই। উনারা মিছিল থেকে ইট পাটকেল ছোড়া আরম্ভ করেন। আমরা প্রায় ৪০ মিনিট ধৈর্য্য ধরেছি। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমরা ফাঁকা ফায়ার করি। এর আগে অন্তত ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও আসামি ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন—সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এসএম আরিফুর রহমান, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই নজরুল ইসলাম, কনস্টেবল মিনহাজ উদ্দিন, মাইন উদ্দিন, বিপ্লব দে, আব্দুল কাদের ও মফিজ আলম।
তবে মামলার প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে মামলা হামলা। মামলাতো দিবেই। মিছিল মিটিং করতে দেয়না। মামলা হামলা করে হয়রানি করে। আমাদের লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেইড দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬-৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই।