সৈয়দ আককাস উদদীন
মহাসড়কে তিন চাকার (ত্রি-হুইলার) যানবাহন চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় প্রতিনিয়ত এসব গাড়ির দেখা মিলছে। এতে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল এবং অদক্ষ চালকের কারণেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে।মহাসড়ক হয়ে উঠেছে মৃত্যুফাঁদ।
সাতকানিয়া সদর থেকে কেরানীহাট, আমিরাবাদ থেকে কেরানীহাট,পদুয়া থেকে কেরানীহাট, বাজালিয়া থেকে কেরানীহাট, বাশঁখালী গুনাগরি থেকে কেরানীহাট চলাচল করে তিন চাকার গাড়িগুলো। দেখা মিললো দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবোঝাই ভারী যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমানে চলছে তিন চাকার যানবাহন। বিশেষ করে ইজিবাইক-টমটম, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নছিমন-করিমন, মাহিন্দ্র।
অন্যদিকে, চার চাকার গাড়ি গুলো যাত্রী পরিবহন করছে। এর মধ্যে লেগুনা, ছারপোকা, ম্যাজিক গাড়ি অন্যতম। চার চাকার এসব যানবাহনে চলাচলও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।মোহাম্মদ হানিফ নামে একজন সিএনজি চালক বলেন, আমরা জানি যে মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি নিষিদ্ধ। কিন্তু কেরানীহাট থেকে যাত্রী গুলো গাড়িতে উঠতে চাই ওনারা সাতকানিয়া রাস্তার মাথা হেঁটে আসে না। আমরা জীবনের তগিদে ঝুঁকি নিয়ে ভাড়া মারতে যায়।হাইওয়ে পুলিশ সিএনজি আটক করলে সহজে ছাড়ে না।প্রায় শুনি যে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন উঠতে দেওয়া হবে না। এ নিয়ে মাঝে-মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে হাইওয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। এর পরেও তো দেখছি ঠিকই এসব যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করছে। তাই আমিও মহাসড়ক দিয়ে যাত্রী আনা-নেওয়া করছি। আমার তো পরিবার আছে।দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রফ বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি।প্রতিদিন ত্রি-হুইলার আটক করা হচ্ছে মামলাও দেয়া হচ্ছে। আমি নিজেও অভিযানে যায় এখন মহাসড়কে তিন চাকার (ত্রি-হুইলার)গাড়ি অনেকটা কমে গেছে।
হাইওয়ে পুলিশে যে সিএনজি গুলোকে ধাওয়া করে এতে যাত্রী এবং ড্রাইবার দের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সেই বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু তিন চাকা (ত্রি-হুইলার) পরিবহন মহাসড়কে নিষিদ্ধ সেহেতু যাত্রীদের উচিত তিন চাকার পরিবহন গুলোতে যাতায়ত না করা।জনগন সচেতন হলে তারা নিজেদের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারবে।আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।মহাসড়কের নিরাপত্তায় আমরা সবসময় তৎপর।