মধ্যরাতে পেছন থেকে চবির অধ্যাপককে পিষে মারলো প্রাইভেটকার

স্কুটি চালিয়ে নগর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আফতাব হোসেন নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। পেছন থেকে ছুটে আসা বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, আফতাব হোসেন ব্যক্তিগত কাজে স্কুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে গিয়েছিলেন। শহরে কাজ সেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান সিভয়েসকে বলেন, ‘গুরুতর আহতবস্থায় শিক্ষক আফতাব হোসেনকে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

জানা যায়, আফতাব হোসেন ব্যক্তিগত জীবনে একই বিভাগের শিক্ষিকা ইসমত আরার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সম্প্রতি দুজনই এক সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার পরই নতুন স্কুটি কিনেন আফতাব হোসেন। এ শিক্ষক দম্পতির এক ছেলে সন্তান আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহকারী প্রক্টর এ এস এম জিয়াউল ইসলাম সিভয়েসকে বলেন, ‘আফতাব ভাই একটি কাজে নিজের স্কুটি চালিয়ে শহরে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে স্কুটিতে করেই ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট ও মদন হাটের মাঝামাঝিতে আসলে পেছন থেকে একটি প্রাইভেটকার সজোরে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ কে এম জিয়াউর রহমান খান এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন— ‘আহারে আফতাব…। আমার সাথে দেখা হলেই সারাক্ষণ রাজনীতির আলাপ নিয়ে মেতে থাকতো। সেই আমুদে, উচ্ছ্বল আফতাব আর নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী আফতাবের এই অকাল মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। ঘাতক প্রাইভেটকার চালকের গ্রেপ্তর ও শাস্তি দাবি করছি।’

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.