সৈয়দ আককাস উদদীন
সেবার মানও দ্রুত নামজারী নিস্পত্তি এবং চমৎকার অফিসিয়ালি পরিবেশ সবমিলিয়ে জনবান্ধবে ফিরে এসেছে উপজেলা ভূমি অফিস।
হয়রানির বিন্দুমাত্র লেশ নেই বল্লেও চলে বর্তমানের এই সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিসটি।
১আগষ্ট(বৃহস্পতিবার) সকালে সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে পরিচয় গোপন করেও সেবা নিতে আসা জনসাধারণের সাথে কথা বলে এবং সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে এই তথ্য মেলে।
জানাযায়-চট্টগ্রামের যে কয়েকটা ব্যস্ত উপজেলা ভূমি অফিস আছেন,তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ব্যস্ততম উপজেলা ভূমি অফিস হলো সাতকানিয়ারটা।
যেখানে ২০২১-২০২২অর্থবছরে নামজারী খতিয়ান রিলিজ হয়েছে প্রায় ৫হাজারের কাছাকাছি,যা অন্যসময়ের তুলনায় ৪গুন গতিতে সর্বোচ্চ স্পীডে ডেলিভারী।
গড়ে মিলিয়ে একটা খতিয়ান পর্যাপ্ত বিশ্লেষণপূর্বল ডেলিভারীতে সময় লেগেছে ১০থেকে ১৫দিন, যা আগেকার সময়ে পড়ে থাকত মাসের পর মাসও বছরের পর বছর।
অন্যদিকে নামজারী জমাভাগ মামলার উপর মিসমামলা গুলিও নিষ্পত্তি হচ্ছে রকেট গতিতে।
যেগুলোও আগেকার সময়ে নিষ্পত্তি হতে হতে জনসাধারণের পায়ের সেন্ডেল ক্ষয় হয়ে যেত।
মিসমামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারি অধীর বাবু বলেন-২০২১-২০২২অর্থ বছরের মিসমামলা গুলি ৮৮%নিষ্পত্তি হয়েছে এসিল্যান্ড স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে।
বাকিগুলিও নিষ্পত্তি হত তবে কিছু কিছু নথিতে মামলা থাকার কারণে একটু বিলম্ব হয়।
এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির পদে দায়িত্বে থাকা কামরুল ইসলাম বলেন-সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিস বরাবরই স্বচ্ছতাও জনবান্ধব ভূমি অফিস হিসেবে পুরো চট্টগ্রামে যথেষ্ঠ সুনাম আছে পাশাপাশি আমাদের এসিল্যান্ড স্যার মং চিংনু মারমা আসার পর থেকেই ভূমি অফিসের ভেতরের যে অফিসিয়াল কার্যক্রম তার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যাতে সেবাপ্রার্থীরা যথাযথ সেবা পায়।
তিনি আরো বলেন-শুধু তাই নয়,সাতকানিয়ার জনপদে বড় বড় অভিযান চালিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়াচ্ছেন পাশাপাশি দূর্নীতিবাজদের আতংক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন-একজনের সম্পত্তি আরেকজনের নামে করারও আমাদের অফিসে সুযোগ নেই।