কেরানীগঞ্জে একই পরিবারের দগ্ধ ছয়, মৃত্যু বেড়ে ৪

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় ইদুনী ওরফে পান্না বেগম (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এতে করে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ওই নারীর শরীরে ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে সোনিয়া ২৩ শতাংশ ও ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন দুপুরেই ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় শিশু মরিয়ম (৪)। পরে গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে শাহাদত (২০) ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মারা যান বেগম (৬০)।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকেন। ভোরে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ওই বাসায় ছুটে যায়। সেখানে ওই ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় পান। পরে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করান হয়।

তিনি আরও জানান, দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, ভোরে বেগম রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাইতে গেলে সারা ঘরে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে তারা দগ্ধ হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.