এওচিয়ায়-তুচ্ছ ঘটনায় এক প্রবাসীর হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ

সাতকানিয়ার এওচিয়া-

 

 

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনার জেরে এওচিয়ায় বেপরোয়া সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপের হাতে এক প্রবাসীর হাত ভেঙ্গে গুঁড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

 

শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৯সে সেপ্টেম্বর) বিকালে এওচিয়ার ৪নং ওয়ার্ডে সিকদার বাড়ির পশ্চিমে মাঝের পুকুর নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত প্রবাসী রাসেল এওচিয়ার ৪নং ওয়ার্ডের লেদুর ছেলেও ব্যবসায়ী রুবেলের আপন ছোট ভাই।

স্থানীয়সুত্রে জানাযায়-এওচিয়ার ৩নং ওয়ার্ডের একটি গ্যাং গ্রুপ এওচিয়ার ৪নং ওয়ার্ডের ছড়ারকুলের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসাও জুয়াখেলা নিয়ন্ত্রনসহ সকল অপকর্ম নিয়ন্ত্রন করে থাকেন।

এই অপকর্ম গুলির বিরুদ্ধে এলাকার সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী  রুবেল দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসলে -কুলাল পাড়ার সোবহান,আব্দুল জলিলও বাদশাসহ তার একটি গ্রুপ ব্যবসায়ি রুবেলের পরিবারের উপর পূর্ব থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

 

আর সেই ক্ষিপ্তের রেষারেষির জেরে  বৃহস্পতিবার(২৯শে সেপ্টেম্বর)  বিকালে রুবেলের দুবাই প্রবাসী ভাই রাসেলকে একা পেয়ে জোরপূর্বক মোবাইলও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে চাদাঁ দাবী করেন পরে এলাকায় খবরটি জানাজানি হলে বাদশাহ,জলিল সোবহানসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়।

 

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আহত রাসেলকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে এক্সরে আর পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে অবস্থা গুরুত্বর মনে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

 

এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া সাতকানিয়া থানার পুলিশের এএসআই নিজাম বলেন-লেদুর ছেলে রাসেল আহত হয় সেটা সত্য। এখন বাকিটা উভয়পক্ষে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সাতকানিয়া থানার ওসি তারেক হান্নান বলেন-ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছিল,পরিস্থিতি শান্ত দোষীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে।

 

এদিকে আহত রাসেলের বড় ভাই ব্যবসায়ি রুবেল বলেন-আমার ভাইকে আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশন করা হয়।

তার ৩টি আঙ্গুলসহ হাতের কব্জি পুরোপুরি ভেঙ্গে গেল।

আর মাথায় দা’এর কোপে ৮টি সেলাই করা হলো।

তিনি আরো বলেন-এই গ্রুপটির বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করলে তারা চাঁদাদাবী করে আসছিল।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.