সাতকানিয়ায়-ডাকাতের কবলে ৩মোটর বাইক আরোহী-হাত পা বাঁধাবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ আটক:১
সাতকানিয়ার-চূড়ামনি
সাতকানিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি মোটর সাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে আটকিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ব্রিকফিল্ডের ইটভাটায় বেঁধে মারধরও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
৩ই অক্টোবর(সোমবার)রাত ১১.৪০এর দিকে উপজেলার এওচিয়ার ২নং ওয়ার্ডের চূড়ামনির কাঠালতল এলাকার থ্রীএসবি ব্রিক ফিল্ডের সামনে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতির কবলে পড়া ৩জন বাইক আরোহীরা হলো কান্চনা ফুলতলার গুড়ঁগুড়ি এলাকার শাকিল,মারফ এবং তাদের আরেক বন্ধু তৌহিদ।
শাকিল গুড়ঁগুড়ি এলাকার নিহত যুবলীগনেতা হাসানের শ্যালক বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়সুত্রে জানাযায়-এওচিয়ার ছনখোলা এলাকা থেকে ফুলতলা আসার পথে মোটর সাইকেলে থাকা ৩বন্ধুর বাইক আটকিয়ে, এবং তাদেরকে মারধর করতে করতে পাকা রাস্তার দক্ষিনে থাকা থ্রীএসবি ব্রিকফিল্ডের ইটভাটায় নিয়ে গিয়ে পরিত্যাক্ত কাপড় দিয়ে হাত পা বেঁধে ৩বন্ধুর মানিব্যাগও মোবাইল,এবং আরেকজনের কিছু দুবাই যাওয়ার পাসপোর্টও কাগজপত্র নিয়ে নেয়।
শুধু এখানেই শেষ নয়-তিন বন্ধুকে ইটভাটিতে বেঁধে রেখে ডাকাতদল আবারো পাঁকা রাস্তায় এসে বাঁশখালী গুনাগরী থেকে ফুলতলাগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজিকে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে আটকাতে চাইলে চৌকস সিএনজি চালক গতি বাড়িয়ে পালিয়ে এসে চূড়ামনির পশ্চিম পাড়ার লোকজনকে খবর দিলে- স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী ছনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোস্তফা কামালকে কল দিয়ে এগিয়ে আসলে, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ডাকাতরা ইটভাটার ভেতর পালাচ্ছে-ওই সময় ইটভাটি ধরে পুলিশও স্থানীয়রা ডাকাতদের ধাওয়া করলেই স্পটে দেখা যায় পূূর্ব থেকে বাঁধা ৩মোটর সাইকেল আরোহী।
পরে ছনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোস্তাফা কামাল নিজেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ৩জনকে উদ্ধার করেন বলে জানান-ছনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোস্তফা কামাল।
এসআই মোস্তফা কামাল জানান-খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেই ডাকাতদল দৌড়ে পালানোর বিষয়টা বুঝতে পেরে আমরা তাদের পিছু পিছু নিয়ে ডাকাত ধরার উদ্দেশ্যে দৌড়াঁলে ইটভাটির একদম ভেতরে দেখা যায় ৩জন লোক বাধাঁবস্থায় আছেন, পরে তাদের আমি উদ্ধার করি।
মারধরের বিষয়ে এসআই মোস্তফা কামালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন-তিনজনকে ডাকাতরা হালকাপাতলা মারধর করেন বলেও জানান।
এদিকে ডাকাতদলকে ধাওয়া করতে যাওয়া স্থানীয় শাহাদাত জানান-তিন বন্ধুকে যে ইটভাটার ভেতর আটকে রাখলো সেটা আমরা জানিনা। মূলত আমরা গেলাম সিএনজিকে ডাকাতি করার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে -কারণ আমাদের সেন্টারে এসে ডাকাতির চেষ্টার বিষয়টা বলেছেন সিএনজি ড্রাইভার।সেখানে গিয়ে দেখি লোক তিনজন হাত-পা বাঁধাও ডাকাতরা পালাচ্ছে।
আর আমাদের খবর দেয়া সিএনজি ড্রাইভারের বাড়ি বাঁশখালি তিনি নিয়মিত গুনাগরি টু ফুলতলা সিএনজি চালান।
ডাকাতির বিষয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের এ্যাডিশনাল এসপি শিবলী নোমান বলেন-ঘটনার সম্পৃক্ত থাকার সবাইকেই আইনের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে ডাকাতির ঘটনায় সাতকানিয়ার থানার ওসি তারেক হান্নান জানান-খবর পেয়ে আমি ফোর্সসহ যায়,একজনকে আটক করা হয়েছে।এবং এই ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
উল্লেখ্য-একই জায়গায় ১মাস পূর্বেও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল,অবশ্যই ওই ঘটনায় ডাকাত গ্রেফতারপূর্বক একটি ডাকাতির মামলাও রেকর্ড করেছিল সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
ঠিক একই জায়গায় একই কায়দায় আবারো ডাকাতির ঘটনার পূনরাবৃত্তি জনমনে শংকা সৃষ্টি হচ্ছে।