সাতকানিয়া ভূমি অফিসে কানুনগোর দায়িত্ব পেয়ে টাকার খেলায় সার্ভেয়ার

কানুনগোর দায়িত্ব পেয়ে সন্ধ্যার আলো নিভলেই টাকার খেলায় মেতেছেন সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবুল কাশেম। এতে করে টাকা দিয়েও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সেবাপ্রার্থীদের। কেননা, সার্ভেয়ারের দায়িত্ব নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে আবুল কাশেম, অন্যদিকে দিনভর তাঁর অপেক্ষায় থাকে শত শত সেবাপ্রার্থী। আর তাদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে টাকার খেলায় মেতেছেন তিনি। কাজে লাগিয়েছেন স্থানীয় দালাল চক্রকেও।

লেনদেনের বিষয়ে কেউ আপত্তি তুললেই তাঁর স্পষ্ট জবাব, আমি সার্ভেয়ার, কানুনগোর কাজ আমার করতে হচ্ছে। এ টাকা দেবে কে!

তাকে টাকা দেয়া কেঁওচিয়ার তিনতিনবার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফররুখ আহমেদ বলেন-আমি ৩০০০ হাজার টাকা দেয়ার পরেও এখনো কোন কাজ করেনি কাশেম সাহেব।
এদিকে সার্ভেয়ার কাশেম বলেন সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন দিয়ে দিছি।
আর একই পদে থেকে দুজনের দায়িত্ব পালন করতে অসুবিধা হয় কিনা জানতে চাওয়া হলে আবুল কাশেম বলেন চাকুরী করতে হলে তো কষ্ট করা লাগবে, দিনে সার্ভেয়ার রাতে কানুনগো এসব হচ্ছে সঠিক তবে লোকবল নেই কি করব?

লোকবলের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আবেদন করা হলো কিনা জানতে হলে তিনি বলেন-এসব তো এসিল্যান্ডের আর ইউএনও এর কাজ আমার না।
এদিকে সাতকানিয়ায় এসিল্যান্ড না থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব না হলেও কথা হয় নাজির কামরুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন-ফেনীর পশুরাম থেকে আরাফাত হোসেন নামে একজন এসিল্যান্ড আসবে শীঘ্রই।
তিনি আরো বলেন-এসিল্যান্ড না থাকার কারণে অনেক কাজ জমে গেল

এদিকে একই ব্যক্তি দুই জনের কাজ সামলাচ্ছে বিধায় সাতকানিয়া থেকে প্রতিমাসে ১৫/১৬লাখ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেন।
সূত্র আরও বলেন, তিনি আসছেন মাত্র ৩মাস হলো এই তিনমাসে একাই হাতিয়েছেন ৫০লাখ টাকার মত।

তাই স্থানীয়দের দাবি তাকে সার্ভেয়ার পদে রেখে কানুনগো পদ থেকে অপসারণ করে ভূমি অফিসটাকে দুর্নীতি মুক্ত করা।

এই বিষয়ে চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রাম সংবাদকে বলেন, বিষয়টা আমি নোট করলাম। আজকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.