লুটপাট চালাচ্ছে চেয়ারম্যান, মামলা দিল ইউপি মেম্বার

বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া (৬৫) মামলা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করা হয়। মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে ৬ জন ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে।

এদিকে আদালত শুনানি শেষে পুলিশের তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এর আগে কাথরিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আইচ্ছ্যা মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৪৭) ও চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে বাঁশখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামানের আদালতে মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে আদালতের পেশকার মো. সেলিম বলেন, কাথরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে করা মামলা পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলায় বাদীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকার অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়েছেন। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরও তাকে কোনো ধরনের কাজ করতে দিচ্ছেন না।

মামলার বাদী বাদশা মিয়া বলেন, আমি কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান। গত বছরের ২৫ আগস্ট ১০০ টাকার ৩টি স্ট্যাম্পে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন তিনি। এরপর থেকে নানাভাবে ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ থেকে আমাকে বঞ্চিত করছেন এবং অর্থ লুটপাট করছেন। অন্যান্য ইউপি সদস্যদেরও একইভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেওয়ার সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পঙ্কজ দত্ত, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল আজিম, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তালেব, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রফিক আহমদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ন কবির চৌধুরী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছৈয়দ আহমদ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে মামলায় তাদের সাক্ষী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সাক্ষী ইউপি সদস্য মো. ছৈয়দ আহমদ বলেন, চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের নানামুখী অন্যায় ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কাথরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইবনে আমিন বলেন, মামলা করার বিষয়টি আমি জানি না। তবে আমি কারও কাছ থেকে অলিখিত স্ট্যাম্প স্বাক্ষর নিইনি। সবকিছু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

 সূত্র: আলোকিত চট্টগ্রাম
মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.