বরিশালের রান পাহাড় ডিঙাতে পারেনি চট্টগ্রাম

 

ফরচুন বরিশালের ২০২ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে ঝড় তুলতে চেয়েছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার উসমান খান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অবশ্য ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। মাঝের ওভারগুলোতে উন্মুক্ত চাঁদ, আফিফ হোসেনরা বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে ব্যর্থ। অভিজ্ঞ জিয়াউর রহমান তাই শেষ দিকে ঝড় তুললেও সেটা কাজে লাগেনি। বরিশালের ২০২ রানের জবাব দিতে নেমে ১৭৬ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

ফলে ২৬ রানের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফরচুন বরিশাল। নবম বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলা সাকিব আল হাসানের বরিশালের এটা দ্বিতীয় জয়। অপর দিকে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) থেকে বিপিএল শুরু হয়েছে বন্দন নগরী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে এবারের প্রথম ম্যাচটা বেশ জমজমাটই হলো। আগে ব্যাটিং করে রান পাহাড় গড়েছে সাকিবের বরিশাল। পরে কম যায়নি চট্টগ্রামও।

২০২ রানের জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম তাদের ইনিংস শুরু করেছিল আগের ম্যাচের মতোই। একপ্রান্তে ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউড প্রান্ত বদল করে যাচ্ছিলেন। আর অপরপ্রান্ত থেকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন উসমান খান। কিন্তু দুজনের কেউই বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ।

দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ১৯ বলে ৩৬ রান করে ফিরেছেন উসমান। তার ইনিংসে চার তিনটি, ছক্কাও তিনটি। ম্যাক্স ও’ডাউড ফিরেছেন ২৯ বলে ২৯ রান করে। প্রতিপক্ষের রান দুইশর ওপারে ফলে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি উন্মুক্ত চাঁদ ও আফিফ হোসেন।

২১ বলে ১৬ রান করেছেন তিন নম্বরে নামার উন্মুক্ত। চারে নামা আফিফ ২১ বলে ২৮ রান করে ফেরেন দলীয় ১৩০ রানের মাথায়। ও’ডাউড, উন্মুক্ত ও আফিফের অমন ইনিংসেই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে চট্টগ্রাম। শেষ দিকে অভিজ্ঞ জিয়াউর রহমান জিয়ার ঝড় তাই কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। শেষ দিকে মাত্র ২৫ বলে ৩টি চার ৪টি ছয়ে ৪৭ রান তোলেন জিয়া। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৬ রানে থেমেছে চট্টগ্রাম।

বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, করমি জানাত, খালেদ আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।

বরিশালের রান পাহাড় ডিঙাতে পারেনি চট্টগ্রাম

এর আগে বরিশালের দুইশোর্ধ্ব স্কোরে বড় অবদান ইফতেখার আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজের। টস হেরে আগে বোলিং পাওয়া বরিশালের হয়ে ওপেনিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ খেলেছেনও দুর্দান্ত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মিরাজ যখন আউট হলেন তখন দলের রান ৩৩। তার মধ্যে ২৪ রানই করেছেন মিরাজ! মাত্র ১২ বলে ৩টি চার ১টি ছয়ে এই রান করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনে নেমে সাকিব আল হাসান পরপর দুই চার হাঁকিয়ে ফিরেছেন তৃতীয় বলে। তবে অপর ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও চারে নামা ইব্রাহিম জাদরানের মধ্যে দারুণ একটি জুটি হয়েছে। ২১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩০ রান করে ফিরেছেন বিজয়। তারপর মাহমুদউল্লাহ পাঁচে নেমে কার্যকারী একটা ইনিংস খেলেছেন। ১৭ বলে ২টি করে চার-ছয় মেরে ২৫ রান করেছেন বাংলাদেশের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

মাহমুদউল্লহ ফেরার পর ক্রিজে এসে রীতিমতো ঝড় তোলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ইফতেখার আহমেদ। শেষ অবদি ব্যাটিং করে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইফতেখার। মাত্র ২৬ বলে এই রান করতে ইফতেখার চার মেরেছেন ৩টি, আর ছক্কা ৫টি! এর আগে আফগান তরুণ ইব্রাহিম ফিরেছেন ৩৩ বলে ৪৮ রান করে।

চট্টগ্রামের হয়ে তিন উইকেট পেলেও চার ওভারে ৪৯ রান খরচ করেছেন আবু জায়েদ রাহী।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.