চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে খুন, সাত দিনে ঝরলো পাঁচ প্রাণ

আটকে রাখা ‘চোরের’ দলের পিটুনিতে গত সোমবার সন্ধ্যায় (৯ জানুয়ারি) দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া খুন হন বৃদ্ধ গৃহকর্তা মো. ইউসুফ (৭০)। পরদিন মঙ্গলবার খুনের ঘটনা ঘটে উত্তর চট্টগ্রামে।

এদিন রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে বাড়িতে ঢুকে বড় ভাইকে গুলি করতে গিয়ে পায়ে লাগে ছোট ভাইয়ের। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের ধরতে গেলে এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচজন।

একই দিন বাঁশখালীর গণ্ডামারায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি দুদু মিয়া (৩৮)। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকায়। কোম্পানির টাকা তুলে বাসায় ফিরছিলেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ফের খুনের ঘটনা ঘটে বাঁশখালীতে। পৌরসদরের মনছুরিয়া বাজার এলাকায় চাচা-ভাতিজার ঝগড়া থামাতে গিয়ে খুন হন কোরবান আলী নামে এক রিকশাচালক।

পরদিন রবিবার পারিবারিক কলহে স্বামীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হন রাবেয়া আক্তার নামে এক নারী। এদিন শিশু পল্লীর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ১ নম্বর লেন এলাকায় ভাড়া বাসায় গলাকেটে খুন করে পালিয়ে যান তার স্বামী জামিন।

পুলিশ বলছে, বেশিরভাগ খুনের ঘটনা ঘটছে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ আর পারিবারিক কলহে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেও ঘটছে। বেশিরভাগ ঘটনার কারণও উদঘাটন হয়েছে।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুদীপ্ত সরকার চট্টগ্রাম সংবাদকে বলেন, জমিজমা, পারস্পরিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ঘটনার কারণ উদঘাটন করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত আছে।

জমিজমার বিরোধ, পারস্পরিক সহিংসতার ঘটনা রোধে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জমিজমা নিয়ে পুলিশের কোন এখতিয়ার থাকেনা। আত্বীয় স্বজন, ভাইভাই, মা-বোনের এদের মধ্যেই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া কিছু এলাকায় সহনশীলতার অভাব রয়েছে। এসব এলাকায় কাউন্সিলিং এর প্রয়োজন আছে। আমরা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সেটা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published.