পটিয়ায় নক্সা পরির্তন করে ভবন নির্মাণ

পটিয়া প্রতিনিধি:

চট্রগ্রামের পটিয়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রীজের মুখ ও পানি চলাচল পথের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের তিতাগাজী বাড়ির ব্রীজ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে ভবন নির্মাণের মালিক মোহাম্মদ বদিউল আলমের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যে কোন মুহুর্তে সংর্ঘষের আশংকা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পটিয়া পৌরসভার তিতাগাজী বাড়ির ব্রীজ এলাকায় নির্মানাধীন ভবনের নক্সা পরির্তন করে কাজ করায় পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বুধবার সকালে পটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান সরেজমিন পরিদর্শন কওে সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। পৌর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ বদিউল আলম পটিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের তিতাগাজী বাড়ির সামনে একটি ব্রীজের মুখে ও পানি চলাচলের পথের বেশিরভাগ অংশ দখল করে ৬তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এর আগে পটিয়া পৌরসভা থেকে ভবনের একটি নক্সা অনুমোদনও নেয়া হয়। পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে ও অনুমোদিত নক্সা পরিবর্তন করে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। স্থানীয়দের দাবি যুগযুগ ধরে ওই এলাকা ছাড়াও উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের পানি চলাচলের একমাত্র পথে প্রতিবন্ধীকতা সৃষ্টি করে ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রীজের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে উপজেলার মোহাম্মদ বদিউল আলম ও পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে আরেক একব্যক্তি সেমি পাকা একটি ঘর তৈরি করেন। পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএনএ নাছির জানান, তাদের বাড়ির পাশে তিতাগাজীর বাড়ি এলাকায় সওজের গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রীজ রয়েছে। ওই ব্রীজের মূখ ও পানি চলাচলের একমাত্র পথে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং পৌরসভার নক্সা পরিবর্তন করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, পৌরসভার অনুমোদিত নক্সা মতে তিতাগাজী বাড়ি এলাকার বিওসি রোড থেকে সাড়ে ৫ ফুট বাদ দিয়ে ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। কিন্তু পৌরসভার নক্সা না মেনে সাড়ে ৩ ফুট বাদ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে বর্ষা মওসুমে পানি চলাচলে বিঘিœত হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।